AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Diet Plan For Diabetes: স্বাদহীন ও তেঁতো খাবার নয়, এইভাবে ডায়েট প্ল্যান করলে ওষুধ ছাড়াই ফিট থাকবেন সুগারের রোগীরা

Sugar Level Control: রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে ও ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি এড়াতে সঠিক খাদ্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওষুধের মতো ডায়েটও গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই মনে করেন যে কোনও কিছু খাওয়ার পর ওষুধ খেলে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তা একেবারেই ভুল ধারণা।

Diet Plan For Diabetes: স্বাদহীন ও তেঁতো খাবার নয়, এইভাবে ডায়েট প্ল্যান করলে ওষুধ ছাড়াই ফিট থাকবেন সুগারের রোগীরা
| Edited By: | Updated on: Jun 12, 2024 | 6:16 PM
Share

ঘরে ঘরে সুগারের রোগী। সবার অলক্ষ্য়েই এই রোগ অতিমহামারী আকার ধারণ করেছে। মানুষের অসচেতনতার অভাবে এই রোগ এখন নতুন প্রজন্মের মধ্যেও প্রবেশ করেছে। মানুষের জীবন নষ্ট করে দেওয়ার জন্য ডায়াবেটিসই যথেষ্ট। এই সাধারণ রোগ নিয়ন্ত্রণে সবসময় সতর্ক থাকতে হয়। সঠিক সময়ে ওষুধ খাওয়া, সঠিক মাত্রায় খাবার গ্রহণ করার পাশাপাশি সুষম খাদ্য রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রতিটি ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যের তালিকায় নজর দেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ খাবারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সুগার লেভেলের সম্পর্ক। অন্যদিকে, ডায়াবেটিসের ওষুধ বা ইনসুলিন গ্রহণ করার পাশাপাশি ডায়েট চার্ট সঠিক না রাখা হয়, তাহলে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। তাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিজে কী কী খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করছে আপনার স্বাস্থ্য।

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে ও ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি এড়াতে সঠিক খাদ্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ওষুধের মতো ডায়েটও গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই মনে করেন যে কোনও কিছু খাওয়ার পর ওষুধ খেলে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তা একেবারেই ভুল ধারণা। সুগার রোগীরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন শুধুমাত্র খাদ্য ও ওষুধের সঠিক সমন্বয় করে। তবে তার জন্য দরকার ভালো জীবনধারা ও নিয়মিত ব্যায়াম।

সুগার রোগীদের ডায়েট প্ল্যান কেমন হওয়া উচিত?

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস রোগীদের সকালের খাবারে থাকা উচিত পরিমিত প্রোটিন ও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। সকালের খাবারে ওটস, ভেজিটেবল পোরিজ, স্প্রাউটস, বেসন চিলা, চিয়া সিড পুডিং, মাল্টিগ্রেন অ্যাভোকাডো টোস্ট, দই ও ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। সাধারণত নিয়ম অনুযায়ী, সকালের খাবার হওয়া উচিত রাজার মতো। এই খাবারগুলি দুপুর পর্যন্ত প্রয়োজনীয় শক্তি ও অন্যান্য পুষ্টি যোগান দেয়। মিষ্টি খেতে ভালো লাগলে অল্প পরিমাণে কিছু মরসুমি ফল খেতে পারেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ডায়াবেটিস রোগীদের কখনও ব্রেকফাস্ট বাদ দেওয়া উচিত নয়। তাতে ব্লাড সুগার ওঠানামা করতে পারে।

ডায়াবেটিস রোগীরা দুপুরের খাবারে মরসুমি সবজি, ডাল, রুটি, স্যালাদ ও দই খেতে পারেন। একবেলা ভাত না খেলে যাদের খাবার হজম হয় না, তারা দুপুরের খাবারে স্টার্চ ফ্রি ভাত খেতে পারেন। শসা, টমেটো ও পালং শাকের স্যালাদ বা স্যুপ খেতে পারেন। উপকার পেতে পারেন। ডায়াবেটিস রোগীরাও টমেটোর স্যুপ তৈরি করে লাঞ্চে খেতে পারেন। এছাড়া দুপুরের খাবারে মটরশুটি ও পনিরের তরকারি খেতে পারেন। যারা আমিষ খেতে পছন্দ করেন, তারা অল্প পরিমাণে চিকেন রোস্ট খেতে পারেন।

সকালের ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের তুলনায় ডায়াবেটিস রোগীদের রাতের খাবার হালকা ও সহজ হওয়া উচিত। খিচুরি, তরকারি, রুটি ও স্যালাদ খেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, রাতে ফল খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। ডিনার করুন হালকার উপর। ডায়েট প্ল্যান ভালো হলে সুগার লেভেলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে ডায়েট প্ল্যান করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।