খাবার খাওয়া নিয়ে কতজনই বা রুটিন মেনে চলতে পারেন? অনেকের পক্ষে কাজের চাপে সম্ভব হয় না। কখনও দেখা যায় সারাক্ষণই মুখ চলছে, আবার কখনও ১০-১২ ঘণ্টার গ্যাপও। প্রত্য়েকের জীবন যাপনের ধরন আলাদা। এক হওয়াটাও সম্ভব নয়। তবে সুস্বাস্থ্য়ের জন্য অনেকেই একটা সময় পর সচেতন হয়ে ওঠেন। ব্যস্ততার মধ্যেও একটা রুটিন মেনে চলার চেষ্টা করেন। অনেকের কাছে আবার প্রশ্নও জাগে, কতটা সময়ের পার্থক্য আদর্শ? আলোচনা আজ এ নিয়েই।
সুস্থ জীপন যাপনের জন্য খাওয়ারের সময় মানিয়ে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দিক। দুপুর এবং রাতের খাবারের মধ্য কতটা পার্থক্য আদর্শ। কেন এই ব্যবধান থাকা উচিত, সবটাই গুরুত্বপূর্ণ। এর উপর হজমপ্রক্রিয়া নির্ভর করে, শরীরের এনার্জির স্তর কেমন হবে এবং সার্বিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও জরুরি। প্রত্যেকের জীবন যাপন যেহেতু আলাদা তাই রোজ রুটিন মেনে একই সময়ে খাবার খাওয়া খুবই কঠিন বিষয়। হাতে গোনা কিছু মানুষই সেটা পারেন।
দৈনন্দিন জীবনের কথা মাথায় রেখে, লাঞ্চ অর্থাৎ দুপুরের খাবার এবং ডিনার বা রাতের খাবারের মধ্যে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টার ব্য়বধান থাকা উচিত। এই ব্যবধানের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে। খাবার খাওয়ার পর সেটা হজম হতে এবং তার পুষ্টিগুন শরীরে প্রবেশ করতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। এই সময়টা বলা যেতে পারে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টার মতো। দুপুরের খাবার হজমের আগেই রাতের খাবার, হজমপ্রক্রিয়া থেকে শুরু করে শরীরের নানা অংশের প্রক্রিয়ায় যে বাধা হতে পারে বলাই যায়।
একটা গ্যাপ থাকলে এটাও মনে হবে না, কেউ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেয়ে ফেলেছেন এবং এর জন্য মেদবৃদ্ধি বা কোনও শারীরীক সমস্যা হতে পারে। ব্য়বধান না থাকলেই বরং সমস্যা। তবে ব্যবধানটা আবার বেশি হলেও সমস্যা হতে পারে। হতেই পারে অতিরিক্ত খাবারের চাহিদা হল এবং যার ফলে প্রয়োজনের তুলনায় ওজন বৃদ্ধিও হতে পারে।
খাবারের রুটিন কী ভাবে তৈরি করা যেতে পারে? ধরে নেওয়া যাক কেউ ৯-৫ টার চাকরি করেন। তাঁর ক্ষেত্রে লাঞ্চের জন্য় আদর্শ সময় হতে পারে দুপুর ১২-১ টা এবং ডিনারের জন্য় সন্ধে ৬-৭ টা। যাঁদের কাজের সময়ের হেরফের হয়, সেই অনুযায়ী রুটিন বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে।