কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখলে হার্ট ভালো থাকে। আরও ভালো করে বললে হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখার চাবিকাঠি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়া মোটেও ভালো না। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। সকালে কয়েকটি অভ্যাস গ্রহণ করলে শরীরে বিরাট পার্থক্য তৈরি হতে পারে। ঘুম থেকে ওঠার পর কোনও ব্যক্তি কী খাচ্ছেন, কীভাবে চলাফেরা করেছন বা মানসিকভাবে কীভাবে দিন শুরু করছেন সবকিছুর প্রভাব শরীরে পড়ে। তাতে কয়েকটি পরিবর্তনগুলি আনলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এশিয়ান হাসপাতালের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজির সিনিয়র কনসালটেন্ট ডক্টর প্রতীক চৌধুরী কয়েকটি সহজ উপায় মেনে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, সকালে ৬টি এমন অভ্যাস করতে হবে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। নিম্নে সেই অভ্যাসগুলি নিয়ে আলোচনা করা হল —
মর্নিং ওয়াক: সপ্তাহে ৭ দিনের মধ্যে ৫ দিন অন্তত ৩০মিনিট দ্রুত হাঁটতে হবে। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, স্থূলতার সমস্যায় উন্নতি করতে যে কেউ মর্নিং ওয়াক করতে পারেন।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণ করা কমাতে হবে: ব্রেকফাস্টের সময় রেড মিট এবং বেশি চর্বিযুক্ত, দুগ্ধ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। এই খাবারগুলি কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে।
ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণ করা কমাতে হবে: কেক, কুকিজ এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে পাওয়া ট্রান্স ফ্যাট শরীরের ক্ষতি করতে পারে। ফলে ব্রেকফাস্ট থেকে এই জাতীয় খাবার বাদ দেওয়া উচিত। কারণ এগুলো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া বাড়াতে হবে: প্রাতঃরাশে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন – ওটমিল, রাজমা, চিয়া সিড এবং ফল যোগ করতে হবে। এগুলো কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের জন্য বাদাম খেতে হবে: সকালে খাদ্যতালিকায় বাদাম, আখরোট বা ফ্ল্যাক্স সিড অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এই বাদাম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। যা এইচডিএল (ভালো কোলেস্টেরল) মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করে।
হালকা গরম জল দিয়ে দিন শুরু করতে পারেন: এক গ্লাস হালকা গরম জল খেয়ে দিন শুরু করতে পারেন। হালকা গরম জলে লেবু দিতে পারেন। যা শরীরকে হাইড্রেট করবে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে।
ডক্টর প্রতীক চৌধুরীর মতে সকালবেলায় উপরিল্লিখিত এই অভ্যাসগুলি কেউ গ্রহণ করতে পারলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ ছাড়া প্রত্যেক ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা আলাদা হয়। চিকিৎসক প্রতীক চৌধুরীর মতে প্রয়োজন মতো বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নেওয়া দরকার। এবং নিয়মিত হৃদরোগের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা জরুরি।