মিষ্টি ছাড়া জীবনের স্বাদটাই অনেকের কাছে ফিকে। চিনি (Sugar) বাদ দিয়ে বেঁচে থাকাটাই অনেকের কাছে কার্যত অসম্ভব। তাই চিনি শরীরের ক্ষতি করে জেনেও জীবন (Life) থেকে এটিকে বাদ দিয়ে উঠতে পারেন না অনেকেই। মিষ্টি খাবারের প্রতি একটা আলাদাই টান মানুষের। বিশেষ করে বাঙালী মিষ্টি ছাড়া কিছু ভাবতেই পারে না। কিন্তু একটু কষ্ট করে যদি একটা মাস চিনির সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে পারেন ফলাফলটা নিজের চোখেই ধরা পড়বে। চিনি বিহীন জীবন শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং সেই সঙ্গেই একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায়। একাধিক গবেষণায় (Research) তা প্রমানিত। আসুন দেখে নেওয়া যাক চিনিকে জীবন পাত থেকে বাদ দিলে কী-কী উপকার মিলবে…
ওজন কমে: চিনিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে যা ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। যদি আপনি অনেক কসরত করেও ওজন কমাতে না পারেন তবে একটা মাস চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেখুন উপকার পাবেন।
কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে চিনিকে জীবন থেকে বাদ দিলে মানুষেক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে শরীরে এনার্জির ঘাটতি অনেকাংশে দূর হয়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে: ডায়াবেটিকদের কাছে চিনি বিষের সমান। আর যাঁদের পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস রয়েছে তাঁদের প্রথম থেকেই চিনি খাওয়ায় রাশ টানা উচিত।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়: চিনি খেলে রক্তে শর্কারার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। যার ফলে ‘গ্লাইকেশন’ নামক এক ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে শুরু করে যার প্রভাবে ত্বকে বলিরেখা ফুটে উঠতে থাকে। শুধু তাই নয় এর ফলে ত্বকের জেল্লা ক্রমে হ্রাস পেতে থাকে। তাই ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে ডায়েট থেকে চিনিকে বাদ দিন।
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে: একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চিনি খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের কগনিটিভ ফাংশন ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গেই স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। এই ধরনের সমস্যা এড়াতে চিনিকে বর্জন করুন।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমে: সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যাঁরা অধিক পরিমাণে চিনি খান তাঁদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। তাই হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে চিনি খাওয়ায় লাগাম টানুন।
মন আনন্দে ভরে ওঠে: বিশেষজ্ঞদের মতে অত্যধিক চিনি খাওয়া শুরু করলে অ্যাংজাইটি লেভেল ক্রমে বাড়তে শুরু করে। শুধু তাই নয় চিনি খেলে এমন কিছু হরমোনের ক্ষরণ শুরু হয় যা মন খারাপ, মানসিক অবসাদের মতো একাধিক সমস্যাকে ডেকে আনে। জীবন থেকে চিনিকে বাদ দিলে মন-মেজাজ অনেকটাই ভাল থাকে এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।