AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Paracetamol: মাথা ধরলেই প্যারাসিটামল খেয়ে নেন? কথায় কথায় এই ওষুধ খাওয়া কি আদৌ ঠিক?

Medicine: চিকিৎসকদের মতে, প্যারাসিটামল খাওয়া নিরাপদ। কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া, অত্যধিক পরিমাণে প্যারাসিটামল খেলে বিপদও হতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত এই ওষুধ স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনকও বটে। জ্বর, গায়ের ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে প্যারাসিটামল।

Paracetamol: মাথা ধরলেই প্যারাসিটামল খেয়ে নেন? কথায় কথায় এই ওষুধ খাওয়া কি আদৌ ঠিক?
Follow Us:
| Updated on: May 24, 2024 | 9:00 AM

অফিসের ব্যাগে হোক বা বেড়াতে যাওয়ার মেডিকেল কিটে, একটা প্যারাসিটামলের পাতা থাকবেই। এটা এমন ওষুধ যা প্রত্যেকের বাড়িতে মজুত থাকে। জ্বর হলে ভরসা প্যারাসিটামল। এমনকি দাঁতের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেও প্যারাসিটামল খেয়ে নেন। তবে, জ্বর ছাড়া কারণ-অকারণে প্যারাসিটামল খাওয়া কি ঠিক? একটু মাথাব্যথা হচ্ছে আর খেয়ে ফেললেন ৬৫০ এমজি-এর প্যারাসিটামল। গা-হাত-পা ভারী হয়ে থাকলে একটা প্যারাসিটামল খেয়ে নেন। এভাবে কথায় কথায় প্যারাসিটামল খাওয়া কি আদৌ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী? এই প্রসঙ্গে TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় রবীন্দ্রনাথ টেগোর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়াক সায়েন্সেস হাসপাতালের জেনারেল ফিজিশিয়ান ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাসের সঙ্গে।

ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাসের কথায়, “প্যারাসিটামল খাওয়া নিরাপদ। ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে প্যারাসিটামল খেতেই পারেন। কিন্তু ওষুধের ডোজ় নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। প্যারাসিটামল ৬৫০ বা ৫০০ এমজি-র পাওয়া যায়। দিনে ৩-৪ গ্রামের বেশি এই ওষুধ খাওয়া যাবে না।” অর্থাৎ, প্যারাসিটামলের ডোজ় ৩০০০-এর উপর যেন না যায়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আরও সহজ করে বলতে গেলে দিনে ৪টের বেশি ট্যাবলেট খাবেন না। কতক্ষণ অন্তর প্যারাসিটামল খাওয়া যায়, এ প্রসঙ্গে অরিন্দম বাবু বলেন, “৪ থেকে ৬ ঘণ্টা অন্তর প্যারাসিটামল খেতে পারবেন।”

তবে ইচ্ছে হলেই প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া, অত্যধিক পরিমাণে প্যারাসিটামল খেলে বিপদও হতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত এই ওষুধ স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনকও বটে। জ্বর, গায়ের ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে প্যারাসিটামল। কিন্তু শরীরের তাপমাত্রা ১০১ ফারেনহাইটের বেশি না হওয়া পর্যন্ত জ্ব‌রের ওষুধ খাওয়া দরকার। একটু গা ভারী হলে, মাথা ধরলে প্যারাসিটামল খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস মোটেই ভাল নয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্যারাসিটামল দেহে বেশ কিছু রাসায়নিক ক্ষরণে বাধা তৈরি করে। এর জেরে শারীরিক ব্যথা কমে। পাশাপাশি দেহের তাপমাত্রাও স্বাভাবিক থাকে। জ্বর কমাতে দুর্দান্ত কাজ করে এই ওষুধ। আর প্রেসক্রিপশন ছাড়াই যেহেতু এই ওষুধ বাজারে পাওয়া যায়, তাই ব্যবহারও বেশি। তাছাড়া দেহের ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে পেইনকিলারের চেয়ে বেশি নিরাপদ প্যারাসিটামল। তাই দাঁতের যন্ত্রণা হোক বা ঋতুস্রাবের সময় তলপেটের ব্যথা, প্যারাসিটামল খেলে রেহাই মেলে।

প্যারাসিটামলের ডোজ় বেশি হয়ে গেলে শারীরিক অস্বস্তি বেড়ে যেতে পারে। মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, র‍্যাশ, চুলকানির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আর যদি দিনের পর দিন প্যারাসিটামল খেতে থাকেন, ছোটখাটো ব্যথা-যন্ত্রণায় প্যারাসিটামলের উপর ভরসা রাখেন, তাহলে বিপদ। ডাঃ অরিন্দমের কথায়, “মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল খেলে লিভারের উপর চাপ সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন যদি প্যারাসিটামল খান তখন লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হয়।” আর এটাও জেনে রাখা দরকার যে লিভারের সমস্যার জেরে মৃত্যুও হতে পারে। তাই প্যারাসিটামল বুঝেশুনে।