Colon cancer: সঠিক সময়ে রোগ ধরা পড়া জরুরি, এড়িয়ে যাবেন না এই সব উপসর্গ…

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Feb 01, 2022 | 11:45 PM

প্রায়শই পেট ব্যথা, মল পরিষ্কার না হওয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে উপেক্ষা নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করান। যত দ্রুত রোগ ধরা পড়বে ততই কিন্তু ভাল

Colon cancer: সঠিক সময়ে রোগ ধরা পড়া জরুরি, এড়িয়ে যাবেন না এই সব উপসর্গ...
পাইলস বা অর্সের সমস্যা থাকলেও অবহেলা নয়

Follow Us

শরীর থেকে যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ বের করে দিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখার দায়ভার থাকে কোলনের উপর। কোলন যদি ঠিক মত কাজ না করে তাহলে কিন্তু ধীরে ধীরে শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলিও বিকল হয়ে যেতে পারে, এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়। আমাদের শরীর থেকে নিয়মিত বর্জ্য পদার্থ, ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যাওয়া জরুরি। কোনও কারণে যদি মলত্যাগে বাধার সৃষ্টি হয় তাহলে কিন্তু শরীর খারাপ হতে বাধ্য। আর কোলন সুস্থ রাখতেই ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া জরুরি। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জলও খেতে হবে। অন্ত্র কিন্তু খুবই সংবেদনশীল। যদি দীর্ঘদিন ধরে পেট পরিষ্কার না হয়, অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে, মলত্যাগে বাধা আসে তখনই কিন্তু সেখানে ক্যানসারকের সম্ভাবনা থেকে যায়। এক্ষেত্রে কোলনে অস্বাভাবিক কোশ বৃদ্ধি ঘটে। আর এই অস্বাভাবিক কোশ বা পলিপই কিন্তু ক্যানসারের লক্ষণ।

অনেকেরই অর্শের সমস্যা থাকে। দীর্ঘদিন ধরে অর্শের সমস্যায় ভুগলে সেখান থেকেও কিন্তু কোলন ক্যানসারের সম্ভাবনা থেকে যায়। অনেকের ক্ষেত্রেই আবার এই অর্শের সমস্যা হল জিনগত। অর্শের জন্য কিন্তু কোলনে জটিলতা তৈরি হয়। সেই সঙ্গে সামগ্রিক অন্ত্রের উপরেও কিন্তু চাপ পড়ে। এতে মলদ্বারের উপরের ও নীচের অংশ ফুলে যায়। তবে এই অর্শ রোগ কিন্তু তিন ধরণের হয়। তবে এই কোলন ক্যানসারে আজকাল প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। ছেলেদের মধ্যে এই ধরনের ক্যানসার রয়েছে তৃতীয় স্থানে। আর মেয়েরা যে সব ক্যানসারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কোলনের ক্যানসার। কিন্তু ভারতে কোলন ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে কিন্তু শীর্ষ স্থানে রয়েছে। এখানে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হন এই কোলন ক্যানসারে।

এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হল

যাঁদের অর্শ রয়েছে, তাঁদের কিন্তু কোলন ক্যানসারে ভোগার সম্ভাবনা থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই অর্শের সমস্যায় প্রথম থেকেই ঠিক করে চিকিৎসা করান। মল দ্বার থেকে অতিরিক্ত রক্তপাত কিন্তু কাম্য নয়। যদি দেখেন যে গাঢ় রক্তপাত হচ্ছে তাহলে কিন্তু ধরে নেবেন তা অভ্যন্তরীণ ক্ষরণ। যা আদতে ক্যানসারের ইঙ্গিত। সেই সঙ্গে মলত্যাগেও কিন্তু অসুবিধে হয়।

শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপে ব্যাঘাত ঘটলে কিন্তু শরীরে একরকম অস্বস্তি লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে মলত্যাগেও কষ্ট হয়। পেট পরিষ্কার হতে চায় না কিছুতেই। গ্যাসের সমস্যা, পেট ব্যথা লেগেই থাকে। আর মলও খুব শক্ত হয়ে যায়। কখনও কখনও রক্তপাতের জন্য একেবারেই মল পরিষ্কার হয় না। এটিও কিন্তু কোলন ক্যানসারেরই লক্ষণ।

আবার অন্ত্রে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ওজন কমে যাওয়া এবং হঠাৎ করে যদি মলের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসে, বার বার মলত্যাগ হয় কিংবা অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় তাহলে কিন্তু তা অবহেলা নয়। একেবারেই তা ক্যানসারের লক্ষণ।

পেটে ব্যথা, ক্লান্তি এবং মলদ্বার থেকে রক্তপাত উপেক্ষা নয়। যত দ্রুত সম্ভব কোলনোস্কোপি করান।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। 

আরও পড়ুন: Obesity and Women: ঠিক যে কারণে বাড়ির মা-কাকিমারা ওবেসিটির সমস্যায় বেশি ভোগেন

Next Article