ঘুমের মধ্যে অনেক সময় শোওয়ার ভঙ্গিমার কারণে হাত মুড়ে যায়। আর হাত মুড়ে গেলে ওই হাতে আর কোনও সাড় থাকে না। এমনকী হাত কোনও ভাবে নাড়ানো যায় না। ঘুমের ভঙ্গিমার কারণে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায় সেখান থেকেও হাত অসাড় হয়ে যেতে পারে। তবে শুনতে যতটা সাধারণ মনে হচ্ছে বিষয়টি কিন্তত ততটাও সাধারণ নয়। আর তাই উপসর্গের দিকে নজর দিন এবং সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। হতে পারে আপনি কোনও রকম শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি, ভিটামিনের আভাবও এর পিছনে দায়ী হতে পারে। আবার কোনও কারণে কনুইয়ের উপর ভর দিয়ে ঘুমোলে সেখান থেকেও আঙুল অসাড় হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা হয়।
এই আঙুল অসাড় হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে যে সব কারণ থাকতে পারে-
কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম
অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে তর্জনী, মধ্যমা এবং অনামিকার উপর সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে। হাত ও আঙুল অসাড় হয়ে যায়। একটা প্রদাহ এবং ব্যথা থাকে। আর এই আঙুলে ব্যথার জন্য মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে যেতে পারে। এই কার্পাল টানেল সিনড্রোম কিছু মানুষের ক্ষেত্রে বেশি হয়। যেহেতু হাত আর কব্জিতেই বেশি ব্যথা হয় তাই যাঁরা সারাদিন টাইপ করেন, একটা আঙুলের উপরই বেশি জোর দেন, বিশেষ কোনও বাদ্যযন্ত্র বাজানোর কারণে, রিউমাটয়েড অর্থ্রাইটিসের সমস্যা থাকলে এবং গর্ভাবস্থায় স্নায়ুর এমন সমস্যা হতে পারে।
ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি
যারা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের একরকম স্নায়ুর সমস্যা এসেই থাকে। কারণ পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি এবং কার্পাল টানেল সিনড্রোমে চাপ পড়ে স্নায়ুর উপর। যার ফলে হাত অসাড় হয়ে যাওয়া, দুর্বলতা এই সব সমস্যা অনেক বেশি দেখা দেয়।
ঘুমনোর কারণে
মূলত ঘুমনোর অবস্থানের কারণেও এই হাত-আঙুলে ব্যথা হতে পারে। কনুইয়ের উপর, আঙুলের উপর বেশি চাপ দিয়ে ঘুমোলে সেখান থেকে রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। আর ঠিকমতো রক্ত সঞ্চালন না হলে সেখান থেকে আঙুলে ব্যথা হতে পারে। তবে আঙুলের ব্যায়াম করলে এই ব্যথা দূর হয়ে যায়।
ভিটামিন বি-১২ এর অভাব
শরীরে ভিটামিন বি-১২ এর অভাব হলে পেশী দুর্বল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে খিদেও কমতে থাকে। যার ফলে হাত অসাড় হয়ে যায়, হাতে ঝিঁঝিঁ ধরে যায়। অতিরিক্ত অ্যালকোহল খেলেও কিন্তু সেখান থেকে এই সমস্যা আসে। আর তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন খেতে হবে। হাত অসাড় হয়ে যাওয়া স্ট্রোকেরণ লক্ষণ হতে পারে। মস্তিষ্কে ঠিকমতো রক্ত না পৌঁছলে সেখান থেকেও এই সমস্যা হয়।