Omicron Infection After Fully vaccinated: কয়েক মাস কোভিড গ্রাফ নিম্নমুখী থাকার পর ফের ভারতে বাড়তে চলেছে করোনা। বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া হিলসেব অনুসারে ভারতে নতুন করে ২,৯২৭ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। কোভিড কেস আগের তুলনায় প্রায় ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কি এবার চতুর্থ তরঙ্গের দিকে এগোচ্ছে ভারত? কোভিডের নতুন রূপটি কিন্তু বেশ দ্রুতই ভারতে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। এর আগে স্টিলথ ওমিক্রন, ওমিক্রনের থেকেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আমাদের দেশে। এমনকী আমাদের দেশে কোভিডের টিকা নেওয়ার পরও প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এর একটা কারণ হতে পারে যে, কোভিড ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা অ্যান্টিবডিগুলি নতুন এই সংক্রমণের কাছে অনেকটাই দুর্বল। যদিও যাঁরা সম্পূর্ণ ভাবে কোভিডের টিকা নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে উচ্চ স্তরের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। যা কিন্তু মূল কোভিড স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
তবে কোভিডের বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরও প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। সে ক্ষেত্রে টি লিম্ফোসাইট কোশকেই কিন্তু দায়ী করা হয়েছে। ১৮ জন সুস্থ এবং কোভিডের বুস্টার ডোজ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেখানেই দেখা যায়, টিকা নেওয়ার ১৪-৯২ দিনের মধ্যে তাঁরা আবারও নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগেরই বয়স ২১-৬০ এর মধ্যে। এঁরা সকলেই কোভিড টিকা ও বুস্টার ডোজ পেয়েছিলেন। কিন্তু এর আগে কোভিডের কোনও সংক্রমণের আঁচ তাঁদের উপর এসে পড়েনি।
এ বিষয়ে আমেরিকার জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যেমন জানান, SARS-CoV-2-এর ভাইরাস আমাদের শরীরে মূল স্ট্রেনের প্রতি প্রতিক্রিয়া ঘটায়। ভাইরাসের অ্যাঞ্জিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম 2 [সাধারণত ACE2 নামে পরিচিত] এর সঙ্গে তা যুক্ত হলেই কোভিড সংক্রমণ হয়। ওমিক্রনের ভাইরাস এই ACE2 এপ স্পাইপ প্রোটিনের সঙ্গে কোভিড অ্যান্টিবডিকে সংযুক্ত হতে বাধা দেয়। যা সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এই টি-কোশই প্রধান ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে ওমিক্রনের সংক্রমণ ততটাও শরীরে জাঁকিয়ে বসতে পারেনি।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।