Weight Loss: শীতকালে ওজন কেন বৃদ্ধি পায়? শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে কী কী করণীয়?
মনোরম আবহাওয়ায় স্বাচ্ছন্দ্যের খুঁজে পাওয়ায় ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা তৈরি হয়। তাপমাত্রা হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে সকালের ঘুম থেকে ওঠা ও গরম গরম বিছানার আরাম ত্যাগ করা প্রতিটি দিন কাটানো, জীবন প্রায় কঠিন হয়ে ওঠে।
শীতের মরসুমে অনেকরই ওজন বৃদ্ধি পায়।নানা কারণেই তা বাড়তে শুরু করে। এই ঋতুতেই সুস্বাদু ও ভাল ভাল খাবার খাওয়ার সুযোগ হয়। মনোরম আবহাওয়ায় স্বাচ্ছন্দ্যের খুঁজে পাওয়ায় ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা তৈরি হয়। তাপমাত্রা হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে সকালের ঘুম থেকে ওঠা ও গরম গরম বিছানার আরাম ত্যাগ করা প্রতিটি দিন কাটানো, জীবন প্রায় কঠিন হয়ে ওঠে। প্রতিদিনের ব্যায়াম বাদ দিলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক ক্রিয়াকবাপও সাধারণভাবে গতি হারায়। ফলে বাড়তি মেদ জমতে শুরু হওয়া কোনও অস্বাভাবিক কিছু নয়।
শীতের ঋতুতে আরামদায়ক খাবারের জন্য ইচ্ছে যেমন ।ষোলোআনা থাকে তেমনও খিদেও তুলনামূলক ভাবে বেড়ে যায়। শীতে ওজন বৃদ্ধির কারণ কী…
তাপমাত্রার আকস্মিক কমে যাওয়া- শীত যত বাড়তে থাকে, মানুষের চলাফেরা ও বাইরে বেরিয়ে সক্রিয় থাকা কঠিন হয়ে যায়। জিমে শরীর থেকে ঘাম ঝরাতেও আলসেমি তৈরি হয়। শারীরিক পরিশ্রম ও নড়াচড়া কমে গেলে ওজন স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে থাকে।
ছোট দিন- শীতের মাসেগুলিতে সূর্যোদয় পরে ঘটে। সূর্যাস্ত অনেক আগেই ঘট, ফলে দিন অনেক ছোট হয়ে যায়। দৈনন্দিন রুটিন যেমন ব্যাহত হয় ও অনেক সময় মানুষ বাইরে বের হতেও টাইম পান না। সকাল-সন্ধ্যায় প্রচণ্ড ঠান্ডা থাকায় অধিকাংশ জড়োসড়ো হয়ে বসে থাকার প্রবণতা তৈরি হয়।
দীর্ঘ রাত- শীতকালে রাত দিনের তুলনায় দীর্ঘ হয়। এরফলে দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘুমানো যায় এই সময়। দিনের বেলায় অলস বোধ হওয়া শীতকালের স্বাভাবিক ধর্ম।
সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার (এসএডি): এসএডি হল এক ধরনের বিষণ্নতা। ঋতু পরিবর্তনের সাথে যুক্ত এটি। মেজাজের পরিবর্তন, নিষ্ক্রিয়তা এবং শক্তির মাত্রা হ্রাস পায়। এসএডি-সহ ব্যক্তিরা ব্যায়াম করতে বা বাইরে যেতে পছন্দ করেন না।
ভাল ভাল খাবার খাওয়া: শীতের সময়, অনেকেই চা, কফি, কুকিজ এবং অন্যান্য ধরণের মিষ্টির জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। ফলে শরীরে যে মেদ জমে তার পিছনে এই কারণ অন্যতম।
শীতকালে ওজন বৃদ্ধি রোধ করার টিপস
– প্রতিদিন সূর্যের আলোয় বের হওয়া উচিত।
– শীতকালে ইনডোর ব্যায়াম একটি ভাল বিকল্প। এতে আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। প্রতিবার খাওয়ার পর হাএটতে ভুলবেন না যেন। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।
খাদ্যাভাস পরিবর্তন করুন- তাজা ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং শিম জাতীয় খাবার খান। জাঙ্ক, প্রক্রিয়াজত, তৈলাক্ত ও টিনজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
ধূমপান এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে, প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন । যার ফলে আপনাকে ফোলাভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন : Indian Spices: দারুণ কার্যকরী এই মশলাগুলো খেলেই পাবেন ঝরেঝরে ফিগার!