Constipation: কাঁড়ি কাঁড়ি সব্জি খাওয়ার পরেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন? কারণটা জানেন কি?

Health Tips: শীতকালে সস্তায় সব্জি মিলছে বাজারে। দেদার কিনছেন আর খাচ্ছেন? তা সত্ত্বেও ভুগতে হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়? কেন হচ্ছে এমন? জেনে নিন কী করলে ভালো থাকবেন?

Constipation: কাঁড়ি কাঁড়ি সব্জি খাওয়ার পরেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন? কারণটা জানেন কি?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2023 | 8:30 AM

স্যালাড এবং কাঁচা শাকসব্জি খেলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়তা মেলে। কারণ এমন ধরনের খাদ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই ধরনের খাদ্য উপাদানগুলি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা থাকার অনুভূতি দিতে পারে। স্যালাড এবং সব্জি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ এবং ভিটামিনে পূর্ণ। তবে উচ্চ পরিমাণে ফাইবার খাওয়ার ফলে পেট খারাপ, পেট ফাঁপা, গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। পুষ্টিবিদরা বলছেন আমরা যা খাই তা আমাদের অন্ত্রে একটি মাইক্রোবায়োম তৈরি করে যা খাদ্য হজম এবং পুষ্টি উপাদান শোষণের জন্য দায়ী। পুষ্টিবিদরা আরও যোগ করেছেন যে অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণের অভ্যেস উদ্ভিজ্জ খাদ্য খাওয়া সীমিত করে। এর ফলে দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য। তাঁরা আরও বলছেন, তবে কেউ হঠাৎ করে কেউ উচ্চ ফাইবারযুক্ত ডায়েটে চলে গেলে তিনি হজমের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। কারণ অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের জন্য উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাদ্যগ্রহণ একটি বড়সড় পরিবর্তন!

তাহলে করবেন কী?

• উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাদ্য খাওয়া শুরু করুন তবে ধীরে ধীরে। লাঞ্চের সঙ্গে স্যালাড যোগ করুন।

• রাতের খাবারে কখনই কাঁচা স্যালাড খাবেন না কারণ রাতের দিকে মেটাবলিজমের প্রক্রিয়া স্লথ হয়ে পড়ে। ফলে রাতে শাক ও স্যালাড হজম করা শক্ত।

• রাতের খাবারে স্যালাডের পরিবর্তে সব্জির স্যুপ নিন।

• সব্জি ভালো করে সেদ্ধ হচ্ছে কি না তার দিকে খেয়াল রাখুন।

কোষ্ঠকাঠিন্যের ঘরোয়া প্রতিকার

ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন কোষ্ঠকাঠিন্য হজমের অন্যতম সাধারণ সমস্যা। মল নরম রাখতে সাহায্য করে খাদ্যের ফাইবার এবং উপযুক্ত মাত্রায় জল। কিছু খাবারের কথা বলা হচ্ছে যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় সাহায্য করতে পারে—

শুকনো ডুমুর

খাদ্যের মাধ্যমে ফাইবার গ্রহণ বাড়ানোর এবং অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য দুর্দান্ত উপায় হল শুকনো ডুমুর খাওয়া। প্রতিদিন দু’টি শুকনো ডুমুর জলে ভিজিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। দিনের যে কোনও সময় এই ভেজানো ডুমুর খান।

আদা

কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম প্রতিকার হল আদা। আদা ‘উষ্ণ ভেষজ’ নামেও পরিচিত। শরীরে তাপ উৎপাদন বাড়ায় যা অলস হজমতন্ত্রকে বেগবান করতে সাহায্য করতে পারে।

কালো কিশমিশ

কালো কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে যা মলকে প্রচুর পরিমাণে জল ধারণ করতে সাহায্য করে। ফলে অন্ত্রে মলের চলাচল সহজ হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দ্রুত উপশমের জন্য এক বাটি জলে এক মুঠো কালো কিশমিশ সারারাত ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে খান। এই উপায় কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ের সঙ্গে শরীর সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।

উষ্ণ জল

প্রতিদিন আড়াই থেকে তিনলিটার জল পান কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের একটি কার্যকর উপায়। হাইড্রেটেড থাকা মলকে নরম করতে সাহায্য করে। তবে ঠান্ডা জল পানের পানের চেয়ে উষ্ণ জল পান করার অভ্যেস খাদ্যকে দ্রুত ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। ফলে হজম ক্ষমতাও শক্তিশালী হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যও থাকে দূরে।

পুষ্টিবিদ ও ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন অন্ত্রের মধ্যে মলের সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকার জন্য জল পান গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিকের চেয়ে কম জল পান করা হলে অন্ত্রের সংকোচন ও প্রসারণ প্রক্রিয়া প্রভাবিত হয়। মল হয়ে পড়ে কঠিন এবং অন্ত্রের মধ্য দিয়ে মলের সঞ্চালন জটিল হয়ে ওঠে।