অনেক সময় দেখা যা, বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা নিয়ে মুখ খুলতে চান না অনেকেই। সমস্যা নিয়ে প্রকাশ্যে বলে লজ্জা পায়। বিশেষত টয়লেট ব্যবহারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আদতে, প্রকাশ্যে টয়লেট শব্দটি ব্যবহার করাতেও জড়তা দেখা যায়। টয়লেটের বিকল্প হিসেবে রেস্টরুম বা ওয়াশরুম বলে এড়িয়ে যাই।
কিন্তু শারীরিক সমস্যার মধ্যে টয়লেট বা প্রস্রাব কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা ধরাণা করতে পারবেন না। প্রাথমিকভাবে গ্লুকোজ, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ইলেক্ট্রোলাইটের মিশ্রণে বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে নির্গত হয়। তবে মাঝে মাঝে প্রস্রাব করার সময় উঁকি মারলে ক্ষতি কিছু হবে না। কারণ টয়লেটের রঙ, ধারা ও অস্বাভাবিকতা দেখে বোঝা যায় আপনার শরীর কতটা সুস্থ রয়েছে। বিশেষ করে, শাওয়ারে স্নানের সময় প্রস্রাব করা উচিত।
শুধু শরীরের অবস্থান বুঝতেই নয়, জলের অপচয় হওয়াও বন্ধ করতে পারবেন। কারণ প্রস্রাব ও মলত্যাগের পর ফ্লাশ করলে টন টন জলের অপচয় হয়। তাই স্নানের সময় মূত্রত্যাগ করা উচিত। দেশে দূষণ ও জনসংখ্যার বিচারে এক গ্যালন জল ফ্লাশ করা, বেশ বিলাসিতা। তারমানে প্রতিদিন টাটকা এক গ্যালন পানীয় জল আপনি নষ্ট করলেন। অন্যদিকে জলের বিল দিতে গিয়ে পকেট থেকে কত টাকা খসে যায়, তাতেও হুঁস ফেরে না অধিকাংশের। পরিবেশের জন্যও এই পদ্ধতি বেশ ক্ষতিকরও বটে।
পাশাপাশি টয়লেটের ফ্লো যদি কম হওয়ায় বেশ সাধারণ ও স্বাভাবিক ঘটনা। পানীয় জল পান করা কম হলে প্রস্রাবের ফ্লো কম হবে। তাই দেহকে হাইড্রেট করতে জল পান করা অত্যন্ত জরুরি । জলের অপচয় রোধ করতে জলের পরিবর্তে টয়লেট পেপার ব্যবহার করতে পারেন।
স্নানের সময় মলত্যাগ ও প্রস্রাব করা অভ্যেস করলে সুন্দর পৃথিবীটা আরও সবুজ ও পরিস্কার হয়।এবং ইকো পরিবেশ গঠন করা সব মানুষেরই কর্তব্য়।
আরও পড়ুন: মহিলারা সাবধান হোন! এই ৫ লক্ষণ এড়িয়ে গেলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারেন কর্কট রোগ