Pressure Cooking: সদ্য অফিসের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে একা থাকতে শুরু করেছে রিম্পি। এর আগে অবশ্য বাড়ির রান্নাঘরে ঢোকার তার ছাড়পত্র ছিল না। তবুও কিছু কিছু শখের রান্না তার আয়ত্তে রয়েছে। কিন্তু এই শখ দিয়ে তো আর দিন চলে না। অগত্যা রোজকারের কাজ চালাতে ভরসা সেই প্রেশার কুকার। সময় লাগে কম, রান্না হয় সহজে। তেল-মশলাও লাগে নামমাত্র। তাই ডাল, সবজি থেকে শুরু করে ডিম- চটজলদি রান্না পেতে অনেকেই সবকিছু প্রেশার কুকারে চাপিয়ে দেন। এবার বেশিরভাগেরই ধারণা, যেহেতু একেবারে কম তেল-মশলায় সিদ্ধ খাবার বানানো যাচ্ছে তাই প্রেসার কুকারে রান্নার জুড়ি মেলা ভার। এভাবে খাবার বানালেই তা হবে হেলদি এবং স্বাস্থ্যপোযগী। কিন্তু আপনার অজান্তেই শরীরের কতটা ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে জানেন কি!
সম্প্রতি ‘সায়েন্স অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার’ নামের একটি পত্রিকায় খাদ্যবিষয়ক বিশেষ প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে প্রেশার কুকারে বরান্না করলে খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়। অবাক হচ্ছেন? প্রেশার কুকারে রান্না করলে খাবারের লেক্টিনের মাত্রা কমে যায়। এই লেক্টিন এমন একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান যা খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট করে দেয়। এদিকে প্রেশারে রান্না করলে তেল, মশলা একেবারেই কম লাগে। আর তাই এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো প্রেশার কুকারে রান্না করা একেবারেই উচিত নয়। সময় কম থাকলেও এই সব খাবার কিন্তু কখনই প্রেশার কুকারে দেবেন না।
দুধের তৈরি খাবার – পায়েস কিংবা গাজরের হালুয়া কোনও ভাবেই প্রেশার কুকারে দেবেন না। তাব সে যতই বিজ্ঞাপনে দেখানো হোক না কেন। প্রেশার কুকারে দুধ খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়। ফলে দুধের পুষ্টিগুণও নষ্ট হয়ে যায়। এভাবে রান্না করলে কিন্তু স্বাদও ঠিকমতো বজায় থাকে না। রসগোল্লা থেকে রাবড়ি কিছুই বানাবেন না প্রেশার কুকারেে।
ডিম- তাড়াতাড়ি রান্না হবে বলে অনেকেই প্রেশার কুকারে চাল-ডাল-ডিম একসঙ্গে সিদ্ধ করতে বসিয়ে দেয়। হাতে সময় কম থাকলেও এই ভাবে কিন্তু রান্না করবেন না। এতে ডিম ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর তাই পুষ্টিবিদরা বলেন ডিম সব সময় খোলা পাত্রে সিদ্ধ করতে।
ভাত- প্রেশার কুকারে খুব তাড়াতাড়ি ভাত রান্না করা যায়। সেই সঙ্গে খেতেও ভাল লাগে। কিন্তু প্রেশার ভাত বানিয়ে দিনের পর দিন খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। এতে ভাতের মাড় মিশে থাকে। ফলে ওজন বেড়ে যায় তাড়াতাড়ি। সেই সঙ্গে নষ্ট হয় ভাতের পুষ্টিগুণ। তাই ভাত বানান হাঁড়িতে। খেতে ভাল লাগলেও প্রেশার কুকারে নয়।
সবজি সিদ্ধ- যাঁদের বাড়িতে রান্নার কোনওন সহায়িকা আছেন তাঁরা সব সময় প্রেশার সবজি সিদ্ধ করে রান্না করেন। এতে সময় বাঁচে। কিন্তু এতে নষ্ট হয় সবজির গুণ। সবজির মধ্যেকার খনিজ, ভিটামিন পাওয়া যায় না। আর যদি প্রেশার সিদ্ধও করেন তাহলে সবজি সিদ্ধর জল ফেলবেন না।
আরও পড়ুন: Ayurvedic Tea: প্রতি চুমুকেই চমক! ‘মিরাকেল চা’ এর উপকারিতা জানলেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসক