পাটালি গুড়ের একাধিক উপকারিতা রয়েছে। আজকাল সারা বছরই বাজারে গুড় পাওয়া যায়। রোজ গুড় খেতে পারলে তার একাধিক উপকারিতা রয়েছে। তবে দীপাবলিতে গুড় খেলে সুস্থ থাকবেন এমনটা আগে শুনেছেন কি! দূষণ এবং ঠাণ্ডা থেকে আমাদের রক্ষা করে এই গুড়। প্রতি বছর দীপাবলি আসার আগেই বেশ ঠাণ্ডা পড়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠলেই ঠাণ্ডার একটা আমেজ পাওয়া যায়। এই ঠাণ্ডা গরমে সবথেকে বেশি মানুষ ভুগছেন সর্দি-কাশিতে। দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। সেই সঙ্গে বাজির ধোঁয়াও থাকে। দূষণ আর ঠাণ্ডায় সবথেকে বেশি কষ্ট হাঁপানি রোগীদের। বয়স্ক থেকে বাচ্চা সকলেই এখন কাপু হয়ে পড়ছেন। আর তাই দীপাবলিতে সুস্থ থাকতে আগে থেকেই গুড় খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।
দীপাবলিতে বায়ু দূষণ থাকে সবচাইতে বেশি। অবশ্য এই দূষণের একাধিক কারণও থাকে। খড়ের বাড়ি পোড়ানো, বাজি, আতশবাজির ধোঁয়া, রংমশাল ইত্যাদির ধোঁয়াতেই দূষণ হয় সবচাইতে বেশি। একই সময়ে শীতকালে উষ্ণ বাতাস ঠান্ডা বাতাসের উপরে স্থির হয়, যার কারণে বায়ুমণ্ডলে দূষণের ভাগ থাকে বেশি। এই দূষণের প্রভাবে শ্বাসকষ্ট, চোখে জ্বালাপোড়া ভাব, শ্বাস নিতে সমস্যা, কাশি , সর্দি এসব লেগেই থাকে। শিশু, বয়স্ক এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এই দূষণ খুবই ক্ষতিকারক।
দীপাবলিতে কতটা গুড় খাবেন আর কী ভাবে খাবেন ?
যাঁদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাঁরা গুড় খাবেন না। যাঁদের কোনও সমস্যা নেই তাঁরা গরম দুধে গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে ১০ গ্রাম গুড় অবশ্যই মিশিয়ে নিন।
এই গুড় আর দুধ শরীরে ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য করে। শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়। যার কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম হয়। এছাড়াও সকালে খালি পেটে আখের গুড়, আদা আর কাঁচা ছোলাও খেতে পারেন।
গুড়ের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অ্যালার্জিক বৈশিষ্ট্য। হাঁপানিও একরকম অ্যালার্জি। আর গুড় খেলে এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যায়। তাই হাঁপানি রোগীদের শীত পড়লেই রোজ গুড় খাওয়া উচিত। এছাড়াও গুড় খেলে শ্বাসতন্ত্র আর ফুসফুসের পেশি শিথিল হয়। যে কারণে গুড়, আদা এসব সর্দি-কাশির জন্য সেরা। সর্দি-কাশিতে বমি বমি ভাব এড়াতে ইষদুষ্ণ জলের সঙ্গে একটুকরো গুড় খেতে অবশ্যই ভুলবেন না।