ঠাণ্ডা লাগলেই নাক দিয়ে জল পড়া, সর্দি বসে যাওয়া, কফ বসে যাওয়া নানা সমস্যা লেগেই থাকে। কোভিড পরবর্তী সময়ে আরও বেশি বেড়েছে এই সমস্যা। কোভিডে প্রাথমিক প্রভাব পড়েছিল ফুসফুসেই। আর যাঁদের একবার কোভিড হয়েছে তাঁদের ফুসফুস অন্যদের তুলনায় একটু কমজোরি। এছাড়াও অনেকের শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে। যার ফলে ফুসফুসে শ্লেষ্মা বা কফ জমে যাওয়া আর সেখাব থেকে সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, সিওপিডির মত রোগের সম্ভাবনা থেকে যায়। আর তাই ফুসফুস শক্তিশালী হলে একাধিক রোগ সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ফুসফুস শক্তিশালী হলে নিজে থেকেই ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। ফলে অসুস্থতার ঝুঁকি কমে। ফুসফুসের সমস্যা হলে ঘন ঘন কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধে, বুকে কফ জমা,বুকে ব্যথা নানা রকম কিছু লেগেই থাকে। আর তাই রোজ এইসব যোগাসন করলে সমস্যা থেকে অনেকখানিই মুক্তি পাওয়া যায়।
তালাসন- প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। এবার দুই পায়ের মাঝে কিছুটা ফাঁক রেখে হাত সোজা করে উরুর সামনে রাখুন। এবার মাথা নীচু করে গোড়ালির দিকে হাত বাড়িয়ে দিন। এই ভাবে থেমে কিছুক্ষণ শ্বাস নিন। এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত তুলুন। এভাবে টানা ১৫ মিনিট করুন।
কোনাসন- এই আসন নিয়মিত করতে পারলে অনেক উপকার হয়। কোমরের ব্যথা কমবে। পায়ের শক্তি বাড়বে সেই সঙ্গে ফুসফুসও শক্তিশালী হবে। প্রথমে দু পা জড় হয়ে দাঁড়ান। এরপর পা ফাঁক করে ভি শেপে দাঁড়াতে হবে। ডান হাত দিয়ে বাঁ পায়ের পাতা ছুঁয়ে অন্য হাত উপরের দিকে রাখতে হবে। কয়েক সেকেণ্ড শ্বাস নিয়ে আবার অন্য হাত পায়ে দিতে হবে। এভাবে কয়েকবার শ্বাস নেওয়ার পর কোমর সোজা করুন।
বজ্রাসন- রোজ বজ্রাসন করলে একাধিক সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কোমর আর মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন। এবার কাঁধের পিছনের দিক থেকে হাত ঘুরিয়ে এনে উরুর উপর রাখতে হবে। এবার শ্বাস নিন আর শ্বাস ছাড়ুন। এভাবে ২০-৩৫ বার শ্বাস নিতে হবে আর ছাড়তে হবে।
যোগাসন সব সময় মাটিতে বসে করবেন। খাটে করবেন না। প্রয়োজনে যোগা ম্যাট কিনে রাখুন। যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে যোগা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।