আমরা অনেকেই অহেতুক দুশ্চিন্তা করি। করোনা লকডাউনের সময়কাল থেকেই অতিরিক্ত কল্পনা, অতিরিক্ত টেনশন এবং অহেতুক উদ্বেগে ভুগছেন মানুষ। জীবনে উদ্বেগ (Stress) থাকবেই। তবে দুশ্চিন্তাপূর্ণ পরিস্থিতিগুলিকে সামলানোর ক্ষেত্রে নানা রাশির (Zodiac Sign) জাতক-জাতিকা নানারকম উপায় অবলম্বন করে থাকে। সারাক্ষণই ক্ষুদ্র ব্যপার থেকে শুরু করে বৃহত্ ব্যাপার পর্যন্ত সব ব্যাপারে অহেতুক চিন্তা করেন তাদের বেশির ভাগই নানা রকম মানসিক ও শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। ১২টি রাশির মধ্যে পাঁচটি এমন রাশি (Horoscope) রয়েছে যারা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যেই গণ্ডগোল পাকিয়ে ফেলেন। অকারণ চিন্তা, অহেতুক কল্পনা যারা করেন এটা তাদের ক্রমশ অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকারা এমন করেন? তাদের দুশ্চিন্তা সামলানোর উপায়ই বা কী? দেখা যাক রাশিগুলি কী কী?
মিথুন রাশি
সবচাইতে বেশি উদ্বেগে ভোগা রাশিগুলির মধ্যে একটি হল মিথুন। এই রাশির জাতক বা জাতিকার মাঝেমধ্যে এতখানি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন যে তাদের সারা শরীরও কাঁপতে থাকে। স্ট্রেস-এ ভুগলে এরা বেশি কথা বলে বা বড় বেশি পরিস্থিতির নানারূপ বিশ্লেষণ করতে শুরু করে। এমনক্ষেত্রে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের উচিত স্ট্রেস-এর বিষয়টি সম্পর্কে খাতায় লিখে ফেলা। এছাড়া প্রিয় গান বা প্রিয় সিনেমাও দেখতে পারেন। এমনকী পছন্দের গল্পের বইটিও পড়তে পারেন তারা। স্ট্রেস সামলাতে সুবিধা হবে।
মেষ রাশি
স্ট্রেস-এ ভুগলে মেষের জাতক-জাতিকারা একেবারে টেনশনের মণ্ড হয়ে যায়! অধৈর্য এবং অস্বস্তি হল এই রাশির সবচাইতে বড় দুর্বলতা। স্ট্রেস-এ পড়লেই মেষের জাতক-জাতিকারা দ্রুত প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। অনেকসময় তা হতাশাপূর্ণ আচরণের সমান হয়ে যায়। চাপের মুখে আপনি ফেটেও পড়তে পারেন। যে কারও উপর চিৎকারও করে উঠতে পারেন। তবে ভালো ব্যাপারটা হল, চাপ সরে গেলেই আপনার রাগ গলে জল হয়ে যায়! তখন আর কেউ বুঝতেই পারেন না মাত্রা কিছুক্ষণ আগেই আপনি রাগে অগ্নিশর্মা হয়েছিলেন!
কন্যা রাশি
কন্যা রাশির জাতক-জাতিকারা নিজের স্নায়বিক দৌর্বল্য লুকোতে আপনঅনুভূতি চাপা দিয়ে রাখতে পছন্দ করে। অথচ টেনশন তাদের ভিতরে ভিতরে কুরে কুরে খায়। আর সেই কারণে পরবর্তীকালে উদ্বেগ সম্পর্কিত নানা শারীরিক সমস্যায় তাদের ভুগতে হয়। এদের মন এত নরম হয় যে কোনও প্রিয়জনকে দুশ্চিন্তায় ভুগতে দেখলেও এরা টেনশনে পড়ে যায়।
বৃশ্চিক রাশি
বৃশ্চিক মানেই রগের কুণ্ড! এদের দুশ্চিন্তা বৃদ্ধি পাওয়া মানেই বিপদ। এরা মানসিক চাপে পড়লে শারীরিকভাবেও অস্থির হয়ে পড়ে। তারস্বরে চিৎকার করতে পারলে তবে এদের দুশ্চিন্তা যেন একটু কমে! এরা একটু নির্জনে থাকতে ভালোবাসে। তাই কোনওভাবে প্রাইভেসি নষ্ট হলে এরা ভীষণ বিরক্ত হয়। ফলে কেউ এদের সঙ্গে প্রতারণা করলে বা এদের বিশ্বাসভঙ্গ করলে এদের উদ্বেগের মাত্রা বেড়ে যায়।
সিংহ রাশি
এরা সবকিছু গোপন রাখতে পছন্দ করে। এদের পরিচয়, অহংবোধের সঙ্গে মানসিক স্থিতাবস্থা ওতপ্রোতভাবে জুড়ে থাকে। এই কারণেই উদ্বেগে ভুগলে এদের সুনাম ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এই রাশির জাতক-জাতিকার কোনওভাবেই আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। সবচাইতে বড় কথা আবেগের বশে এরা নানা আকাশকুসুম কল্পনা করে। এর ফলে এদের নিজের প্রতি বিশ্বাসেও চিড় ধরে। সমস্যা হল, সব পরিস্থিতি যে আপন নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে না তা এরা বুঝতে চায় না। স্ট্রেস থেকে বাঁচতে তাই অদূর ভবিষ্যতকে নিয়ন্ত্রণ না করে মুহূর্তে বাঁচতে শিখতে হবে সিংহরাশির জাতক-জাতিকাদের।