নয়া দিল্লি: বিগত কয়েকদিন বলা চলে কয়েকমাস ধরে সংক্রমণ ১৫ হাজারের নীচেই রয়েছে। কখনও বেড়ে বারো হাজার হলেও দশ-এগারো হাজারের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে সংক্রমণের গ্রাফ। তবে একদিনের মৃত্যু কিন্তু অনেকটাই আতঙ্কে ফেলেছিল। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মৃত্যুকে নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ঠ বেগ পেতে হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে (India) নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১৯৭ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ৮ হাজার ৮৬৫ জন।
এদিকে, করোনাকে জয় করে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা এক হাজার বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ হাজার ১৩৪ জন। মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৩ হাজার ৪৯০ জন।
চলতি সপ্তাহে দেশে উত্তোরোত্তর বেড়ে গিয়েছিল মৃত্যুর সংখ্যা। যথেষ্ঠ আতঙ্ক বাড়িয়েছিল গোটা দেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেই আতঙ্ক কিছুটা কেটেছে। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩০১ জনের।
তবে গতকালের তুলনায় একধাক্কায় বাড়ল সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৩৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টা মিলিয়ে দেশে মোট সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৫৫ জন।
এখনও সক্রমণের নিরিখে কেরলে(Kerala)সংক্রমণ সর্বোচ্চ। সেই রাজ্যে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫ হাজার ৫১৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ২১০ জনের। এরপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ৮৮৬ জনের শরীরে হদিশ মিলেছে ভাইরাসের। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। মহারাষ্ট্রের পরে রয়েছে কর্নাটক। সেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৫ । গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। আর তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮৯ জন।
বিগত তিন থেকে চার মাসের পরিসংখ্যান লক্ষ করলে দেখা যাবে দেশের বাকি রাজ্যগুলির তুলনায় উত্তর প্রদেশে কিন্তু করোনা সংক্রমণ যথেষ্ঠ নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজ্য হওয়ার দরুণও সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু অনেক নিয়ন্ত্রিত।গত ২৪ ঘণ্টায় সেই রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন। কারও মৃত্যু হয়নি। রাজধানী দিল্লিতে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ জন।
এদিকে, এই রাজ্যে ফের ৮০০ পার করল রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা । সোমবার সকাল ৯ টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯ টার মধ্যে রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮১৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। একইসঙ্গে সুস্থও হয়ে উঠেছেন অনেকে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮২৫ জন। একইসঙ্গে রাজ্যে কিছুটা কমেছে পজিটিভিটি রেটও। সোমবার স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত একদিনে পজিটিভিটি রেট ২.৮৮ শতাংশ। আজ তা কিছুটা কমে হয়েছে ২.২১ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৮.৩০ শতাংশ। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ২৭। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ হাজার ১১৫টি।
আরও পড়ুন: TMC: নির্মম! বৃদ্ধ দম্পতির জমি-বাড়ি কেড়ে বিক্রি করে দিল তৃণমূল নেতা!