নয়া দিল্লি : গত বছরের শুরুর দিকেই দেশে করোনা সংক্রমণের প্রকোপ শুরু হয়। প্রথম ঢেউ পেরিয়ে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়ঙ্কর চেহারার সাক্ষী থেকেছে ভারত। তবে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই সেই সংখ্যাটা ক্রমাগত কমতে শুরু করেছিল। প্রায় ১৫ হাজারের নীচেই ছিল সংক্রমণ। এরপর গতকাল একধাক্কায় কমে দাঁড়ায় ৮ হাজারে। কিন্তু একটার পর একটা দিন পেরিয়েছে আর এক হাজার দু’হাজার করে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৫৪৯ জন। গতকাল সেই সংখ্য়াটা ছিল ৯ হাজার ১১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ৭ হাজার ৫৭৯ জন। একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯ হাজার ৮৬৮ জন। করোনাকে হারিয়ে মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৭৭ হাজার ৮৩০ জন।
শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৯৩ জন। মোট সক্রিয় রোগী ১ লক্ষ ১০ হাজার ১৩৩ জন। তবে ধীরে ধীরে ফের বেড়েছে মৃত্যু। একদিনে করোনার বলি ৪৮৮ জন।
এখনও সংক্রমণের নিরিখে কেরলে(Kerala)সংক্রমণ সর্বোচ্চ। সেই রাজ্যে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫ হাজার ৭৮৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৮৪ জনের। এরপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ৮৪৮ জনের শরীরে হদিশ মিলেছে ভাইরাসের। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। মহারাষ্ট্রের পরে রয়েছে কর্নাটক। সেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৬ । গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। আর তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩৯ জন।
বিগত তিন থেকে চার মাসের পরিসংখ্যান লক্ষ করলে দেখা যাবে দেশের বাকি রাজ্যগুলির তুলনায় উত্তর প্রদেশে কিন্তু করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজ্য হওয়ার দরুণও সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু তুলনামূলক অনেক কম।গত ২৪ ঘণ্টায় সেই রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৪ জন। কারও মৃত্যু হয়নি। রাজধানী দিল্লিতে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ জন।
এই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭৭৪ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৩১ শতাংশ। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৩১ জনের। পজিটিভিটি রেট ২.০৫ শতাংশ। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৮৬৭। বুধবার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল ৩৯ হাজার ১৯ জনের। একদিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮০৩ জন। ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
সামনে এসেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের কথা। দক্ষিণ আফ্রিকায় এর দাপাদাপিও শুরু হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে সুপার ভ্যারিয়েন্ট। হংকং, বতসোয়ানাতেও দেখা মিলেছে তার। চিকিৎসকরা বার বারই বলেছিলেন, তৃতীয় ঢেউ কতটা ভয়াবহ হবে বা আদৌ হবে কি না তা নির্ভর করবে নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্টের গতি প্রকৃতির উপর। তবে কি ফিরছে বিপদের দিনরাত্রি? সুপার ভ্যারিয়েন্ট সে প্রশ্নই উস্কে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: New Variant of Corona: নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে চিন্তা বাড়ছে, রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করল কেন্দ্র