নয়া দিল্লি: কখনও বাড়ছে, কখনও বা কমছে দেশের করোনা (corona) গ্রাফ। স্থিতিশীল রয়েছে সংক্রমণ। তবে সামাম্য স্বস্তি দিয়েছে মৃত্যু। গতকালের একধাক্কায় কমে গেল মৃতের সংখ্যা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে (India) নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ২৭১ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ১১ হাজার ৮৫০। এদিকে, করোনাকে হারিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা কমে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১ হাজার ৩৭৬ জন। মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৩৭ হাজার ৮৫৯ জন।
চলতি সপ্তাহে দেশে উত্তোরোত্তর বেড়ে গিয়েছিল মৃত্যুর সংখ্যা। যথেষ্ঠ আতঙ্ক বাড়িয়েছিল গোটা দেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেই আতঙ্ক কিছুটা কেটেছে। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮৫ জন।
তবে এই মুহুর্তে দেশে একদিনে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯০। যা কিছুদিন আগে পর্যন্ত উর্ধ্বমুখী ছিল। গত ২৪ গণ্টা মিলিয়ে দেশে মোট সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯১৮।
এখনও সক্রমণের নিরিখে কেরলে(Kerala)সংক্রমণ সর্বোচ্চ। সেই রাজ্যে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৬ হাজার ৪৬৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৭৪ জনের। এরপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ৯৯৯ জনের শরীরে হদিশ মিলেছে ভাইরাসের। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। মহারাষ্ট্রের পরে রয়েছে কর্নাটক। সেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪৫ । গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। আর তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮০৯ জন।
তবে উত্তর প্রদেশের মতো বড় রাজ্য নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা বুলেটিন অনুযায়ী সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৯ জন। রাজধানী দিল্লিতেও আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা নিয়ন্ত্রণে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ জন। আবার মিজ়োরামের মতো ছোটো রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৭ ছুঁইছুই। তবে কারও মৃত্যু হয়নি।
এদিকে, এই রাজ্যে করোনা (Covid-19) পরিস্থিতি নিয়ে এখনই উদ্বেগ টলছে না। স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিদিনের বুলেটিন চিন্তা জিইয়ে রাখছে। আজও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে আটশোর উপরে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে শনিবার সকাল ৯ টার মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭২ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৮২৮ জন। সুস্থতার হার ৯৮.২৯ শতাংশ। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪১ হাজার ১৯৩টি। পজিটিভিটি রেট ২.১২ শতাংশ। এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ৩১।