মুম্বই: বাদল অধিবেশন শুরু হতেই মহারাষ্ট্র (Maharashtra) বিধানসভায় গোলমাল। যার জেরে ১২ জন বিধায়ককে ১ বছরের জন্য সাসপেন্ড করলেন স্পিকার-ইন-চার্জ। যদিও এই অভিযোগকে ‘মিথ্যে’ বলেছেন মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। তাঁর দাবি, বিজেপির কেউ কোনও কটূক্তি করেনি। জানা গিয়েছে, বাদল অধিবেশন শুরু হতেই বিধানসভায় গোলমাল শুরু করেন বিরোধী বিধায়করা। এরপরই স্পিকার-ইন-চার্জের কেবিনে গিয়ে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ-সহ অন্যান্য বিজেপি বিধায়করা চড়াও হন বলে অভিযোগ।
যদিও সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে দেবেন্দ্র ফড়নবীশের দাবি, ওবিসি ইস্যুতে বিজেপি বিধায়কদের বেশিক্ষণ কথা বলতেই দেননি স্পিকার-ইন-চার্জ ভাস্কর যাদব। পাল্টা স্পিকারের দাবি, বিজেপির অভিজ্ঞ নেতা চন্দ্রকান্তি পাটিল ও দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সামনেই তাঁকে অসংসদীয় কথাবার্তা বলা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর তদন্ত দাবি করেছেন।
This is how it all started. BJP leaders stormed into #Maharashtra #Assembly #Speakers #Chamber. During first day of Assembly session pic.twitter.com/Z2NjIjwckv
— Nawab Malik نواب ملک नवाब मलिक (@nawabmalikncp) July 5, 2021
যে ১২ বিধায়কের নামে বিধায়ক পদ বাতিলের রেজলিউশন জারি হয়েছে, তাঁরা হলেন সঞ্জয় কুটে, আশিস শেলার, অভিমন্যু পাওয়ার, গিরিশ মহাজন, অতুল ভটকলকর, পরাগ আলাভনি, হরিশ পিম্পালে, রাম সতপুতে, বিজয় কুমার রাওয়াল, যোগেশ সাগর, নায়ান কুচে. কির্তিকুমার বাংড়িয়া। বিজেপি বিধায়ক আশিস শেলার এ বিষয়ে বলেন, “ঠাকরে সরকার তালিবানদের মতো আচরণ করছে। এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই।” তাঁর দাবি কেউ কটূক্তি করেনি। বরং তাঁরা গিয়েছিলেন ক্ষমা চাইতে, তবু সাসপেন্ড করা হয়।
মহারাষ্ট্র বিধানসভায় এখন কোনও স্থায়ী স্পিকার নেই। কারণ প্রাক্তন স্পিকার নানা পাটোল পদত্যাগ করে এখন সে রাজ্যে কংগ্রেস সভাপতির পদে আসীন। বিজেপি এখন স্পিকার পদে নিজেদের বিধায়ককে বসাতে চায়। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা সেনা জোটের সঙ্গেই।
আরও পড়ুন: ‘আমাদের বন্ধুত্ব আমির খান ও কিরণের মতো’, বিজেপিকে ‘ফিল্মি বার্তা’ শিবসেনার