হাথরস: হার মানবে সিনেমার চিত্রনাট্য। বোর্ডিং স্কুলের ছুটির জন্য ১৩ বছরের পড়ুয়ার ‘কীর্তি’তে হতবাক পুলিশ। উত্তর প্রদেশের হাথরসে ৯ বছরের পড়ুয়ার মৃত্যুর তদন্তে নেমে ১৩ বছরের ওই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বোর্ডিং স্কুল বন্ধ হলে সে বাড়ি যেতে পারবে, এই জন্য ৯ বছরের পড়ুয়াকে ধৃত কিশোর খুন করেছে বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে ১৩ বছরের ওই পড়ুয়া।
কী ঘটেছিল?
গত ২৬ সেপ্টেম্বর ৯ বছরের ওই পড়ুয়ার দেহ স্কুলের ডিরেক্টরের গাড়ির পিছনের আসন থেকে উদ্ধার হয়। প্রথমে সন্দেহ করা হয়, স্কুলের ওই ডিরেক্টর এবং তাঁর পরিবার এই খুনে জড়িত। মনে করা হয়, স্কুলের উন্নতির জন্য কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয়ে ৯ বছরের পড়ুয়াকে ‘বলি’ দেওয়া হয়েছে। খুন এবং প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার ২ মাস পর পড়ুয়া খুনে নতুন মোড় নিল। বৃহস্পতিবার হাথরসের এসপি চিরঞ্জীবনাথ সিং বলেন, “ওই ছাত্র খুনের ঘটনায় পড়ুয়াদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখনই জানা যায়, ধৃত পড়ুয়া তার সহপাঠীদের জিজ্ঞাসা করেছিল, কীভাবে স্কুল বন্ধ হতে পারে।” পুলিশ সুপার বলেন, “ওই পড়ুয়া ভেবেছিল, ছাত্রের মৃত্যুতে স্কুল বন্ধ থাকবে। আর সে বাড়ি যেতে পারবে।”
ধৃত পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে সে ভেঙে পড়ে। জানায়, তোয়ালে দিয়ে শ্বাসরোধ করে ৯ বছরের পড়ুয়াকে সে খুন করেছে। স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার আগে হাতে একটি তোয়ালে নিয়ে যেতে দেখা যায় তাকে। খুনের পর এক সহপাঠীকে তার পাশে ঘুমাতে বলেছিল। সে জানিয়েছিল, তার ভয় করছে। ঘটনার আরও তদন্ত করছে পুলিশ।