লখনউ: এক সপ্তাহ হয়েছে আরজি কর কাণ্ডের। দেশজুড়ে এখনও প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে তিলোত্তমার বিচার চেয়ে। এরইমধ্যে সামনে এল চাঞ্চল্যকর আরেক ঘটনা। ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করল তাঁরই শিক্ষক। ২০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর মৃত্যু হল কিশোরীর। এখনও পলাতক অভিযুক্ত।
ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের সোনভদ্র জেলায়। জানা গিয়েছে, অষ্টম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে তারই স্কুলের এক শিক্ষক। ট্রেনিংয়ের নামে ওই শিক্ষক কিশোরীকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কিশোরী বাড়িতে এসে জানালেও, পরিবার লোকলজ্জার ভয়ে চুপ ছিল। অভিযুক্তের পরিবারও ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিল মুখ বন্ধ রাখার জন্য। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় কিশোরীর। বাধ্য হয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করায় তাঁর পরিবার। ২০ দিন পর, গত মঙ্গলবার মৃত্য়ু হয় ওই কিশোরীর।
নির্যতিতার পরিবারের বয়ান অনুযায়ী, অভিযুক্ত স্কুলে স্পোর্টস ইন্সট্রাক্টর হিসাবে কাজ করত। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অভিযুক্ত কিশোরীকে ইভেন্টে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁর বাড়িতে ডাকে। সেখানেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত।
লোকলজ্জায় নির্যাতিতার পরিবার তাঁকে ছত্তীসগঢ়ে আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সেখানেই কিশোরীর চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু ধীরে ধীরে কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই থাকে। এরপর গত জুলাই মাসে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তখন থেকেই পলাতক অভিযুক্ত।