নয়া দিল্লি : উত্তর ভারতে অতি বৃষ্টিতে নাজেহাল জনজীবন। শনিবার সকালে হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় মেঘভাঙা বৃষ্টিও হয়। অতি বৃষ্টির জেরে বন্য়া পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হয়েছে বেশ কিছু এলাকায়। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও জম্মু ও কাশ্মীর মিলে অতি বৃষ্টির কারণে ভূমি ধসে মারা গিয়েছেন ১৫ জন। আরও ১৩ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর মধ্যে হিমাচল প্রদেশেই মারা গিয়েছেন ৮ জন। মান্ডি জেলায় দুটি বাড়ি ধসে যাওয়ার পরই উদ্ধারকারীরা সেখানে উপস্থিত হন।
এদিন হিমাচল প্রদেশে হড়পা বাণ ও ভূমি ধসে মোট ৮ জন মারা গিয়েছেন। আরও ১৩ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর জেলায় বন্যার কারণে ২২ জন আটকে পড়েছেন। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপদভাবে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। এদিকে সকালে ভারী বৃষ্টির কারণে ভেঙে পড়ে কাংড়া জেলার চাক্কি ব্রিজ। তাই জোগিন্দরনগর ও পাঠানকোট রুটের মধ্যে ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে উত্তরাখণ্ডে বিভিন্ন জায়গায় মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। সেখানে ৪ জন মারা গিয়েছেন। সেতু ও নদী ধুয়ে যাওয়ায় আরও ১০ জন নিখোঁজ হয়েছেন। উত্তরাখণ্ডের তেহরি জেলার গোয়াদ গ্রামে দুটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েছেন সাতজন। তেহরির জেলাশাসক সৌরভ গহরওয়ার জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরে ভূমিধসের কারণে মারা গিয়েছে দুই শিশু। উদ্ধামপুর গ্রামে ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধসে মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে। সেই ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মারা গিয়েছে ৩ বছরের আরিফ ও দুই মাস বয়সের গনি নামের দুই শিশু।