Kejriwal and Sisodia Acquitted in Defamation Case : সিবিআই হানার মাঝেই স্বস্তি, মানহানির মামলায় বেকসুর খালাস কেজরী-সিসোদিয়া

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Aug 20, 2022 | 9:29 PM

Kejriwal and Sisodia Acquitted in Defamation Case : ২০১৩ সালের একটি মানহানির মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, তাঁর ডেপুটি মণীশ সিসোদিয়া ও প্রাক্তন আপ নেতা যোগেন্দর যাদব। সিবিআই অভিযানের মাঝে এই মামলায় স্বস্তি মিলল আপের।

Kejriwal and Sisodia Acquitted in Defamation Case : সিবিআই হানার মাঝেই স্বস্তি, মানহানির মামলায় বেকসুর খালাস কেজরী-সিসোদিয়া
ফাইল ছবি

Follow Us

নয়া দিল্লি : দিল্লি সরকারের নয়া আবগারি নীতি নিয়ে আপাতত সিবিআই-র রাডারে আপ সরকার। গতকাল দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। এদিকে জেলে রয়েছেন আপ নেতা সত্যেন্দ্র জৈন। এই আবহে একটি মানহানির মামলায় স্বস্তি পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, তাঁর ডেপুটি মণীশ সিসোদিয়া ও প্রাক্তন আপ নেতা যোগেন্দ্র যাদব। যেই সময় সিসোদিয়ার ঘাড়ের কাছে সিবিআই নিঃশ্বাস ফেলছে সেই পরিস্থিতিতে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের এই আয় নিঃসন্দেহে বড় স্বস্তি।

শনিবার রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট কেজরীবাল, সিসোদিয়া ও যোগেন্দ্রকে একটি ফৌজদারি মানহানির মামলায় মুক্তি দিয়েছে। এই মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী সুরেন্দ্র শর্মা। তিনি দাবি করেছিলেন, ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ মুহূর্তে তাঁর প্রার্থী পদ আপের তরফে বাতিল করা হয়েছিল। এদিন অতিরিক্ত প্রধান মেট্রোপলিটন ম্য়াজিস্ট্রেট বিধি গুপ্তা জানান, অভিযোগকারীর উদ্ধৃত সংবাদ নিবন্ধগুলি পর্যালোচনা করা হয়েছে তবে এই প্রতিবেদনগুলির মাধ্যমে মানহানির মামলা স্থাপন করতে পারেননি আবেদনকারী।

যদিও মামলাকারী সুরেন্দর কুমার শর্মা মারা গিয়েছেন। তাঁর ভাইপো এখনও আদালতে এই মামলা চালিয়ে যাচ্ছেন। শর্মার বক্তব্য অনুসারে, ২০১৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর আপের প্রার্থী পদ বাতিল করা হয় এবং সেই বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলি মানহানিকর ছিল। তাই তিনি আপের তিন নেতার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সুরেন্দর কুমার শর্মা অভিযোগ করেছিলেন যে ২০১৩ সালে নির্বাচনের ঠিক আগে আপের বেশ কয়েকজন ভলেন্টিয়ার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁরা তাঁকে আম আদমি পার্টির টিকিটে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলেছিলেন। তাঁরাই জানিয়েছিলেন, অরবিন্দ কেজরীবাল তাঁর সামাজিক আচরণে সন্তুষ্ট ছিলেন। তারপর তিনি মণীশ সিসোদিয়া ও যোগেন্দ্র যাদবের অনুরোধে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে টিকিট দিতে অস্বীকার করা হয়। শেষে ২০১৩ সালের ১৪ অক্টোবর মাসে সুরেন্দর কুমার দাবি করেন, এই সম্বন্ধে বিভিন্ন সংবাদপত্রে কিছু নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ব্য়বৃহত মানহানিকর, বেআইনি ও অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করা হয়েছিল। এর ফলে সমাজে তাঁর খ্য়াতি নষ্ট হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এবার সেই মামলাতেই স্বস্তি পেলেন কেজরীবাল, সিসোদিয়া ও প্রাক্তন আপ নেতা।

 

Next Article