নয়া দিল্লি : ভারতের জনসংখ্যা বিপুল। তাই অতিমারি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিকাকরণ অত্যন্ত জরুরি। দ্রুত বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দিতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। ঘরে ঘরে গিয়েও চলছে টিকা দেওয়ার কাজ। ২০২১-এই ১০০ কোটি টিকাকরণের মাইলফলক পার করেছিল কেন্দ্র। এবার তৈরি হল ১৫০ কোটির নজির। শুক্রবারই ১৫০ কোটির টিকাকরণের মাইলফলক পার করেছে ভারত। এই ঘটনাকে ঐতিহাসিক সাফল্য বলে উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব আর স্বাস্থ্যকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ছাড়া এই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হত না। তিনি উল্লেখ করেছেন, সবাই মিলে একযোগে কাজ করলে, তবেই কোনও লক্ষ্যে পৌঁছনো যায়। গত বছরের ২১ অক্টোবরে ১০০ কোটির মাইলফলক পার করে ভারত। এবার আরও একধাপ এগোল সেই সাফল্য।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ করোনা ভ্যাকসিনের অন্তত একটি ডোজ় পেয়েছেন। আর ৬৬ শতাংশের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে অর্থাৎ তাঁরা টিকার দুটি ডোজ়ই পেয়েছেন। এ ছাড়া ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে গত ৩ জানুয়ারি থেকে। এখনও পর্যন্ত ২২ শতাংশ কিশোর-কিশোরী টিকার একটি ডোজ় পেয়েছে। এরপর শুরু হবে প্রিকশন ডোজ় দেওয়ার কর্মসূচি। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি যাদের কোনও বাড়তি অসুস্থতা বা কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের দেওয়া হবে প্রিকশন ডোজ় বা বুস্টার।
आज साल के पहले महीने के पहले हफ्ते में ही, भारत 150 करोड़- 1.5 बिलियन वैक्सीन डोजेज़ का ऐतिहासिक मुकाम भी हासिल कर रहा है, 150 करोड़ वैक्सीन डोज वो भी एक साल से कम समय में।
भारत के लिए ये 130 करोड़ देशवासियों के सामर्थ्य का प्रतीक है : PM @NarendraModi जी#SamarthyaKe150crore pic.twitter.com/dynE0dVBWA
— Dr Mansukh Mandaviya (@mansukhmandviya) January 7, 2022
উল্লেখ্য দেশে নতুন করে মহামারির ভয়াল চেহারা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। শুক্রবারই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ পার হয়েছে ভারতে। এ দিন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৭ হাজার। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ৩ হাজার।
আরও পড়ুন : PM Security Breach: ভাটিন্ডার এসএসপিকে শোকজ নোটিস, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব তলব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমানে আসা প্রত্যেক যাত্রীকে ভারতে আসার পরে সাত দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। এমনকী, যদি তাঁরা বিমানবন্দরে কোভিড -১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভও আসেন, তারপরেও কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে। এরপর দেশে পা রাখার অষ্টম দিনে তাঁদের ফের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন : Kolkata Safe Home: সেফ হোম নিয়েও তরজা, বিজেপি কাউন্সিলরের সেফ হোম বন্ধ করল পৌরসভা