নয়া দিল্লি : মাঝপথে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয়কে। আর সেই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় অভিযোগ উঠেছে পঞ্জাবের পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এবার সেই ইস্যুতে কড়া পদক্ষেপ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। শোকজ নোটিস দেওয়া হল পঞ্জাবের ভাটিন্ডার সিনিয়র পুলিশ সুপারকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর কাছে জবাব তলব করা হয়েছে।
আজ, শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে শোকজ নোটিস দেওয়া হয়েছে ভাটিন্ডার সিনিয়র পুলিশ সুপার এসএসপি অজয় মালুজাকে। কেন ওই ঘটনা ঘটল? কোথায় নিরাপত্তার খামতি ছিল? কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে না? এই সব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে তাঁকে। উত্তর দেওয়ার জন্য তাঁকে ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে এই নোটিস দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫ টার মধ্যে এসএসপিকে জবাব দিতে হবে।
বৃহস্পতিবারই পঞ্জাবের মুখ্যসচিব অনিরুদ্ধ তিওয়ারি গত বুধবারের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঘটনাক্রমের বিশদ বিবরণ দিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন অমিত শাহের মন্ত্রকে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্যের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এরপরই এই শোকজ নোটিস দেওয়া হল।
প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তিন সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন, ক্যাবিনেট দফতরের নিরাপত্তা সচিব সুধীর কুমার সাক্সেনা, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর যুগ্ম অধিকর্তা বলবীর সিং এবং স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপের আইজি এস. সুরেশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত করে রিপোর্ট জমা করতে।
বুধবার সকালে ভাটিন্ডাতে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ বিমান। সেখান থেকে হুসেনিওয়ালাতে জাতীয় শহীদ স্মৃতি সৌধে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। হেলিকপ্টার করে সেখানে যাওয়ার কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে দৃশ্যমানতা না থাকায় সড়ক পথেই হুসেনিওয়ালার উদ্দেশে রওনা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে তাঁর কনভয় যখন একটি ব্রিজের উপর পৌঁছয়, তখন দেখা যায় যে বেশ কিছু বিক্ষোভকারী অবরোধ করেছে। ওই ব্রিজের উপরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে সেখান থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা আধিকারিকরা।
সাধারণত প্রধানমন্ত্রী যখন অন্য কোথাও যান, সেই সময় নিরাপত্তার স্বার্থে রাস্তাঘাটে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে সাধারণ মানুষের হাঁটা-চলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।