লাগাতার ধস নেমেই চলেছে কিন্নরে, থমকে উদ্ধারকার্য, আরও ৪টি দেহ উদ্ধারে মৃতের সংখ্যা পৌঁছল ১৭-এ

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Aug 14, 2021 | 10:07 AM

বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও উদ্ধারকার্য শুরু হওয়ার পর সকালে দুটি দেহ উদ্ধার হয়। পরে আরও দুটি দেহ উদ্ধার হয়। এই নিয়ে এখনও অবধি মোট ১৭টি দেহ উদ্ধার হয়েছে।

লাগাতার ধস নেমেই চলেছে কিন্নরে, থমকে উদ্ধারকার্য, আরও ৪টি দেহ উদ্ধারে মৃতের সংখ্যা পৌঁছল ১৭-এ
ক্রেন ব্য়বহার করেও চলছে উদ্ধারকার্য। ছবি:PTI

Follow Us

কিন্নর: লাগাতার ধসে (Landslide) বারংবার বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে উদ্ধারকার্য। বুধবার হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) নামা ধসের জেরে যে ধ্বংসস্তূপের সৃষ্টি হয়েছে, তা এখনও পরিস্কার করা সম্ভব হয়নি। হিমাচল প্রদেশ ট্যুরিজ়মের বাসের যে ২৫ থেকে ৩০ জন যাত্রী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন, তাদেরও সকলকে উদ্ধার করা যায়নি এখনও। শুক্রবার আরও চারটি দেহ উদ্ধার করা হয়। এই নিয়ে ধসের জেরে মোট ১৭ জনের দেহ উদ্ধার হল।

বুধবার দুপুরে ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ হিমাচল প্রদেশের কিন্নর (Kinnaur) জেলার নেইগাল সারিতে ধস নামে। ধসের জেরে আটকে পড়ে হিমাচল প্রদেশ ট্যুরিজ়মের একটি বাস, একটি ট্রাক ও কয়েকটি ছোট গাড়ি। ওই বাসে কমপক্ষে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ধসের অভিঘাতে বাস থেকে ছিটকে পড়েছিলেন বাসের চালকও। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ধসের খবর পেতেই উদ্ধারকার্যে নামে পুলিশ ও রাজ্য় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। পরে সেনাবাহিনী, আইটিবিপি ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরেও খবর দেওয়া হয়। সে দিন দুপুর থেকেই শুরু হয় উদ্ধারকার্য। বুধবার রাত অবধি মোট ১১টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় ঘটনাস্থল থেকে।

আইটিবিপি(ITBP)-র তরফে জানানো হয়, ধসের জেরে ট্রাকটি সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বাসের অর্ধেক অংশও নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। বাস ও পাথর চাপা পড়া গাড়ি মিলিয়ে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০জন আটকে রয়েছে বলে সন্দেহ। পরে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে পুনরায় উদ্ধারকার্য শুরু হয়, তখনই খোঁজ মেলে বাসটির। রাস্তা থেকে ৫০০ মিটার নীচে ও সুতলেজ নদী থেকে ২০০ মিটার উপরে আটকে থাকতে দেখা যায় বাসের অর্ধেক অংশ।

বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও উদ্ধারকার্য শুরু হওয়ার পর সকালে দুটি দেহ উদ্ধার হয়। পরে আরও দুটি দেহ উদ্ধার হয়। এই নিয়ে এখনও অবধি মোট ১৭টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে লাগাতার পাহাড় থেকে পাথর গড়িয়ে আসায় বারংবার উদ্ধারকার্য ব্যহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী দলগুলি।

অন্যদিকে শুক্রবারই লাহুল স্পিতি জেলাতেও সকাল সাড়ে নটা নাগাদ ধস নামে। ধসের জেরে আটকে পড়ে চন্দ্রভাগা নদীর গতিপথ। জানা গিয়েছে, অবরুদ্ধ গতিপথের জেরে তৈরি হয়ে গিয়েছে একটি ঝিল, যা স্থানীয় ভাষায় ‘তাল’ নামে পরিচিত। এই তাল ভেঙে পড়লে স্থানীয় বাসিন্দা ও কৃষিজমির বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১৩টি গ্রামের প্রায় ২ হাজার মানুষকে সরিয়ে অনত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, এখনও অবধি কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। তবে ১৬ জন নিখোঁজ। এলাকা প্লাবিত হওয়ার  আশঙ্কায় বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের আগেই উপত্যকায় জোড়া সাফল্য, ধৃত হিজবুল জঙ্গি, গোপন ডেরা থেকে উদ্ধার বিপুল অস্ত্র 

 

Next Article