মুম্বই: বিমানে লাগেজে মোম ও গয়নার আকারে লুকিয়ে দেশে আসছিল সোনা। হাতেনাতে ধরলেন মুম্বই রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের (The Directorate of Revenue Intelligence) আধিকারিকরা। সোনা পাচারের অভিযোগে সুদানের ১৮ জন নাগরিককে গ্রেফতার করল ডিআরআই। তাঁদের সকলেই মহিলা বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের থেকে ১৬.৩ কেজি সোনা উদ্ধার হয়েছে। এদিকে এই চোরা চালানকারী চক্রের সঙ্গে এক ভারতীয়ও যুক্ত রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাকে শহরেরই এক হোটেল থেকে আটক করেছে গোয়েন্দারা।
শারজাহ ও দুবাই থেকে তিনটি পৃথক আন্তর্জাতিক বিমানে মুম্বই পৌঁছন ১৮ জন মহিলা। তাঁদের থেকে ১৬.৩ কেজি সোনা উদ্ধার করেছে রাজস্ব দফতরের গোয়েন্দারা।সুদান ও দুবাই থেকে সোনা পাচারের চেষ্টা চলছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে আগে থেকেই ক্লু ছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই ডিআরআই কর্মকর্তারা সোমবার রাতে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা তিনটি আন্তর্জাতিক বিমান থেকে ১৮ জন সুদানী নাগরিককে আটক করে। সূত্রের খবর, ৩০ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ওই মহিলারা তাঁদের লাগেজে মোম ও গয়না আকারে সোনা লুকিয়ে রেখেছিলেন। মুম্বই বিমান বন্দরে তাঁদের মালপত্র পরীক্ষা করে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের ১৬ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। তাঁরা কোনও ঘোষণাপত্র ছাড়াই দেশে সোনা নিয়ে এসেছেন। ফলে সেই সোনায় আমদানি শুল্কে ফাঁকি দিতে চেয়েছিলেন তাঁরা।
মুম্বই বিমান বন্দর থেকে ধৃত পাচারকারীদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ডিআরআই-র আধিকারিকরা। তদন্তে সহযোগিতা না করা আধিকারিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ উঠেছে ওই মহিলাদের বিরুদ্ধে। এই জিজ্ঞাসাবাদেই অন্যতম এক চক্রীর নাম উঠে আসে। তারপর এক হোটেল থেকে সুহেইল পুনাওয়ালা নামের ২৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন তাঁরা। বিদেশিদের থেকে সোনা সংগ্রহ করে তা পরবর্তী ব়্যাকেটের হাতে পৌঁছে দেওয়াই ছিল সুহেইলের দায়িত্ব। সূত্রের খবর, পরে এই সোনাই মুম্বইয়ের সোনার বাজারে বিক্রি করা হয়। ডিআরআই আধিকারিকরা চক্রের অন্যান্য সদস্যদের সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য সুহাইলকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এই অভিযানের সময় ডিআরআই একটি জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৮৬ লক্ষ টাকা মূল্যের ১.৪৬ কেজি অতিরিক্ত সোনা এবং মোট ১.০৪ কোটি টাকা মূল্যের বিদেশি ও ভারতীয় মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করেছে।