সদ্য যৌবনে পা রেখেছে, প্রেমিকার ইন্সটাগ্রামে পেয়েছিল একটা মেসেজ, তা দেখেই যা কাণ্ড ঘটাল, তাতে গায়ে কাঁটা দেবে
Crime: রাহুলের কাছে তাঁর প্রেমিকার ইন্সটাগ্রাম আইডি-পাসওয়ার্ড ছিল। প্রেমিকার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতেই দুজনের মধ্যে কথোপকথন দেখতে পায়। এরপরই দশরথের সঙ্গে যোগাযোগ করে সে এবং দেখা করার কথ জানায়।
গান্ধীনগর: প্রেমিকাকে ঘনঘন মেসেজ করছে অন্য যুবক। বিষয়টা একদমই না-পসন্দ ছিল সদ্য যৌবনে পা রাখা রাহুলের। প্রেমিকা যাতে হাতছাড়া না হয়, তার জন্য দীর্ঘ পথ পেরিয়ে মেসেজ করা ওই যুবককেই খুন করে এল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের গান্ধীনগরে। ১৯ বছরের এক যুবক ও তাঁর বন্ধুর বিরুদ্ধে অন্য এক যুবককে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবক অভিযুক্তের প্রেমিকাকে ইন্সটাগ্রামে মেসেজ করছিল। সেই আক্রোশেই অভিযুক্ত খুন করে।
অভিযুক্ত রাহুল গুজরাটের সিহোলি গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে, মৃত যুবক ধোলাকুনয়ার বাসিন্দা। রাহুলের প্রেমিকা মেহসানার বাসিন্দা হলেও, সম্প্রতি এক আত্মীয়ের বাড়ি ধোলাকুনয়ায় গিয়েছিল। সেখানেই দশরথ নামক ওই যুবকের সঙ্গে দেখা হয়। ফিরে আসার পর ওই যুবক ইন্সটাগ্রামে মেসেজ করতে থাকে।
এদিকে, রাহুলের কাছে তাঁর প্রেমিকার ইন্সটাগ্রাম আইডি-পাসওয়ার্ড ছিল। প্রেমিকার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতেই দুজনের মধ্যে কথোপকথন দেখতে পায়। এরপরই দশরথের সঙ্গে যোগাযোগ করে সে এবং দেখা করার কথ জানায়।
দশরথের গ্রামেই রাহুল ও তাঁর এক বন্ধু দেখা করতে যায়। সেখানে দেখা করে দশরথকে মেসেজ করতে বারণ করে রাহুল। কিন্তু দশরথ তা মানতে নারাজ। দুজনের মধ্যে এই নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। রাগের বশেই রাহুল ছুরি বের করে দশরথকে মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের। সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
দশরথ বাড়ি না ফেরায়, তার পরিবারের লোকজন নিখোঁজ ডায়েরি করে। পরেরদিনই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।