Maha Kumbh Mela 2025: মহাকুম্ভের মেলায় স্থান নেই ‘অহিন্দুদের’! দোকান বসানোয় ‘না’ বলল হিন্দুত্ববাদী সংগঠন
Maha Kumbh Mela 2025: হিন্দুত্ববাদী নেতার এই মন্তব্যকে সঠিক নজরে দেখছে না একাংশের রাজনীতিকরা। মুসলিমদের মহাকুম্ভ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই এমন মন্তব্য অখিল ভারতীয়র প্রধানের, মত ওয়াকিবহাল মহলের।
প্রয়াগরাজ: হিন্দুরা ছাড়া কেউই মহাকুম্ভের মেলায় নিজেদের দোকান দিতে পারবে না, এমনই মন্তব্য অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের প্রধান মোহন্ত রবীন্দ্র পুরীর। চলতি মাসেই শুরু হবে মহাকুম্ভের মেলা। বলা হয়, কুম্ভ আসে প্রতি ছয় বছরে, আর মহাকুম্ভ আসে ১২ বছরে। শেষ বার ২০১৩ সালে এই মহাকুম্ভের মেলার আয়োজন হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে। এরপর সরাসরি ২০২৫। আর তার আগেই এমন মন্তব্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের প্রধানের।
তিনি বলেন,’চা,ফল ও ফুল মহাকুম্ভের এই তিন প্রধান দোকানের মধ্যে কোনওটিই দিতে পারবেন না তারা (অহিন্দুরা)। তারা দোকানের মধ্যে প্রসাব করেন, থুতু ফেলেন। তাই নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যদি তারা দোকান দেয় তবে নাগা সাধুরাই হয়তো তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিয়ে নেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এদের দোকান দেওয়ার কারণে যদি কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটে, তাহলে বিশ্বের কাছে ভুল বার্তা যাবে। পরিপাটিভাবে, শান্তির আবহে মহাকুম্ভের মেলার আয়োজন চলছে, অহিন্দুদের ঢুকিয়ে সেই শান্তিভঙ্গের কোনও মানেই হয় না।’
উল্লেখ্য, হিন্দুত্ববাদী নেতার এই মন্তব্যকে সঠিক নজরে দেখছে না একাংশের রাজনীতিকরা। মুসলিমদের মহাকুম্ভ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতেই এমন মন্তব্য অখিল ভারতীয়র প্রধানের, মত ওয়াকিবহাল মহলের। কুম্ভ মেলার আয়োজনের সকল দায়িত্ব প্রশাসনিক মহলের হলেও, এই মেলার কার্যত পক্ষে গুরুদায়িত্বে থাকে অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ। মেলার তারিখ, সময়, স্নানযাত্রা, কতটা জমি কোন কাজে ব্যবহার হবে সব দায়িত্বই সামলে থাকে এই সংগঠনটি। এবার সেই সংগঠনের প্রধানের এমন মন্তব্য চিন্তা বাড়াচ্ছে অহিন্দু ব্যবসায়ীদেরও।
তবে হিন্দুত্ববাদী নেতার মুখে বিভেদের মন্তব্য থাকলেও, মহাকুম্ভকে ‘বৈষম্যবিরোধী’ রাখার অনুরোধই করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানিয়েছেন, ‘শুধু মাত্র বিশাল আকারই এই মহাকুম্ভের বৈশিষ্ট্য নয়, এর বৈচিত্র্যও নজর কাড়ার মতো। কোটি সাধু-সন্ত এই মেলা যোগদান করবেন। তাই খেয়াল রাখতে হবে কেউ বড় বা কেউ ছোট নয়। বৈষম্যকে সরিয়ে রেখেই মেলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’