চেন্নাই: পরিবারের তেমন আর্থিক সঙ্গতি নেই। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকেই তাই কাজ করত খাবার ডেলিভারির। কিন্তু খাবার ডেলিভারি করতে গিয়েই এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হল ডেলিভারি এজেন্টকে যে চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করল। গ্রাহকের কটূ কথা সহ্য না করতে পেরে, আত্মহত্যা করল ১৯ বছরের যুবক। সুইসাইড লেটারে হেনস্থা-অপমানের কথা উল্লেখ করে গিয়েছে ওই যুবক।
ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর চেন্নাইতে। মঙ্গলবার ওই যুবক বাড়িতে আত্মহত্যা করে। পুলিশ তাঁর ঘরে তল্লাশি চালিয়ে একটি সুইসাইড লেটার উদ্ধার করে। দেখা যায় তাতে লেখা, মুদি সামগ্রী ডেলিভারি করতে গিয়ে এক মহিলা গ্রাহক তাঁকে কড়া ভাষায় ভৎসর্না, গালিগালাজ করেছিলেন। তাঁর ওই কথায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই যুবক। হতাশায় ডুবে যায় সে। এরপরই চরম সিদ্ধান্ত নেয় যুবক। আত্মহত্যা করে নেয় সে।
জানা গিয়েছে, ওই যুবক বি.কম পড়ুয়া ছিল। পার্ট টাইমে ফুড ডেলিভারির কাজ করত। গত ১১ সেপ্টেম্বর ওই যুবক কোরাত্তুরে একটি বাড়িতে মুদি সামগ্রী ডেলিভারি করতে গিয়েছিল। কিন্তু রাস্তা চিনতে অসুবিধা হওয়ায়, নির্দিষ্ট সময়ের কিছুটা পরে সে পৌঁছয়। দেরী করে আসার জন্য ওই গ্রাহক তাঁকে গালমন্দ তো করেনই, অ্যাপেও তাঁর নামে অভিযোগ করেন এবং তাঁকে যেন ভবিষ্যতে আর না পাঠানো হয়, সেই আর্জি করেন।
গোটা ঘটনাতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে যুবক। রাগের বশে ওই মহিলার বাড়িতে ঢিল ছুড়ে জানালার কাঁচ ভেঙে দেয়। এরপরই ওই মহিলা যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান। পুলিশ ওই যুবক ও তাঁর মা-বাবাকে ডেকে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়।
তবে এই ঘটনাতে চরম অপমানিত বোধ করে যুবক। ঘটনার ৫ দিন পর যুবক আত্মহত্যা করে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এই ঘটনায়।