অ্যান্টিবডি থেরাপির কামাল, ১২ ঘণ্টাতেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন দুই গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগী

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Jun 10, 2021 | 9:14 AM

স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক জানান, করোনা চিকিৎসায় "গেম-চেঞ্জার" হিসাবে কাজ করছে এই মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি। সঠিক সময়ে প্রয়োগ করা হলে গুরুতর অসুস্ত রোগীরাও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন।

অ্যান্টিবডি থেরাপির কামাল, ১২ ঘণ্টাতেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন দুই গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগী
ফাইল চিত্র। ছবি:PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: অ্যান্টিবডি থেরাপিতে মিলছে দারুণ ফল। দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত দুই রোগীর দেহে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি (Monoclonal Antibody) প্রয়োগের ১২ ঘন্টার মধ্যেই উধাও যাবতীয় রোগের উপসর্গ, সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থাতেই বাড়ি ফিরলেন তাঁরা।

বুধবার হাসপাতালের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, মনোক্লোনাল অ্যান্টবডি প্রয়োগের পরই দুই গুরুতর অসুস্থ রোগী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, গত সপ্তাহেই ৩৬ বছরের এক স্বাস্থ্যকর্মী করোনা সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রচন্ড জ্বরের পাশাপাশি কাশি, প্রচন্ড দুর্বলতা, মায়ালজিয়া ও লিউকোপেনিয়ার মতো নানা রোগের উপসর্গ ছিল। সংক্রমণের ষষ্ঠদিনে তাঁর দেহে ক্যাশিরিভিম্যাব ও ইমডেভিম্যাব প্রয়োগ করা হয়। এর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ওই রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় ও তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

অপর রোগী ছিলেন ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ। করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি তাঁর উচ্চ রক্তচাপ, মধুমেহ ও প্রচন্ড জ্বর, সর্দি-কাশি ছিল। তার অক্সিজেন স্যাচুরেশনের মাত্রা ছিল ৯৫ শতাংশ। সংক্রমণের পাঁচদিনের মাথায় তাঁর দেহেও REGCov2 প্রয়োগ করা হয়। তিনিও ১২ ঘণ্টার মধ্যেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন।

১২ ঘণ্টাতেই রোগী সুস্থ হয়ে ওঠার বিষয়ে স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক জানান, করোনা চিকিৎসায় “গেম-চেঞ্জার” হিসাবে কাজ করছে এই মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি। সঠিক সময়ে প্রয়োগ করা হলে গুরুতর অসুস্ত রোগীরাও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। পাশাপাশি এই অ্যান্টিবডি প্রয়োগের ফলে আলাদাভাবে স্টেরয়েড প্রয়োগের প্রয়োজনও পড়ছে না, যারফলে পরবর্তী সময়ে মিউকরমাইকোসিস বা অন্য কোনও ছত্রাক কিংবা ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকছে না।

আরও পড়ুন: হিসাবে গরমিল, পুনর্যাচাই করতেই সাড়ে ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৯ হাজারে পৌঁছল বিহারে মোট মৃতের সংখ্যা

Next Article