নয়া দিল্লি: ঘণ্টাখানেকের জন্য রাস্তার ধারে গাড়ি পার্ক করে রেখে গিয়েছিলেন। ফিরে দেখলেন আস্ত গাড়িটাই উধাও। দিনে দুপুরে এভাবে একটা নয়, একাধিক গাড়ি চুরি (Car Theft) যাচ্ছিল বিগত কয়েক মাস ধরে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও, অভিযুক্তদের খোঁজ মিলছিল না কিছুতেই। তদন্তে নতুন মোড় আসল যখন জানা গেল, একটি নির্দিষ্ট গ্যাং-ই গাড়ি চুরির চক্রের পিছনে রয়েছে। তাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, যেকোনও গাড়ি চুরির আগে তারা দরগায় দিয়ে প্রণাম করে আসে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই পাতা হয়েছিল ফাঁদ। সেই ফাঁদে পা-ও দিল চোরেরা। গ্রেফতার হল দুই গাড়ি চোর। ঘটনাটি দিল্লির (Delhi)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়েই গত সপ্তাহে ওই দুই চেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরেই এই চোরেদের খোঁজে ছিল পুলিশ। কিন্তু কিছুতেই তাদের নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না। গত ৭ জানুয়ারি গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর এসেছিল যে ওই দুই চোর একটি চুরি করা গাড়ি নিয়ে তিমারপুর পুলিশ স্টেশনে আসবে। এরপরই পুলিশের একটি দল ওই চোরদের ধরতে উদ্যোগী হয়।
৭ জানুয়ারি সন্ধে ৬টা নাগাদ পুলিশের নজরে আসে যে একটি মারুতি ভ্য়ান ওয়াজিরাবাদের একটি দরগার দিকে যাচ্ছিল। ওই গাড়িতে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকেও দেখা যায়। এরপরই ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি সেমি-অটোমেটিক পিস্তল ও চারটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের নাম গুলজার আহমেদ আনসারি ও মহম্মদ তারিক। তাদের কাছে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হলে, তারা দেখাতে পারেননি। এরপরই আরও জেরা করে জানা যায়, ওই গাড়িটি চুরির। অভিযুক্তরা জানায়, হাফিজ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে দুই মাস আগে ২০ হাজার টাকা দিয়ে পিস্তল কিনেছিলেন। এরপর সেই বন্দুক দেখিয়ে তাঁরা গাড়ি চুরি করতেন। দিল্লির বিভিন্ন অংশ থেকে তাঁরা গাড়ি ও বাইক চুরি করত। গত ৭ জানুয়ারিও তিমারপুরে গাড়ি চুরি করতে এসেছিল। তাদের কাছে মাস্টার কি-ও ছিল। কিন্তু দরগায় পুজো দেওয়ার আগেই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।