গুয়াহাটি : গত মে মাস থেকে দুর্ভোগ শুরু হয়েছে উত্তর-পূর্বের এ রাজ্যে। গত মাসে অতি ভারী বৃষ্টিপাত ও ধসের কবলে পড়েছিল অসমের বিভিন্ন জেলা। প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ এই বন্যার কবলে পড়েছিলেন। আবার ভারী বৃষ্টিপাতের সাক্ষী অসমবাসী। অসমে ধস পড়ে গত তিনদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন। বৃহস্পতিবার ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাই-বোনের। অসমের গোয়ালপাড়া ঘটনা।
এদিন ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অসমের গোয়ালপাড়া শহরে ভূমি ধস নামে। ধসের কারণে তাদের বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে। সেই ধ্বংসাবশেষে চাপা পড়ে প্রাণ যায় দুই ভাইবোনের। জানা গিয়েছে দু’জনেই নাবালক। গোয়ালপাড়ায় রাজ্য বিপর্যয় রেসপন্স ফান্ড (SDRF) দল তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। আজকের ঘটনা নিয়ে গত তিনদিনে ভূমিধসে ৬ জন মারা গিয়েছে। এ বছর অসমে বন্যায় এখনও পর্যন্ত ৪৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অসমের ডিমা হাসাও জেলায় এখনও বন্যার কবলে। সেখানে প্রায়ই ধস নামছে। এদিকে তামুলপুর জেলায় বন্যার জল ঢুকে গিয়েছে। সেখানে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ বন্যার কবলে। গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিপাতে বরোলিয়া, পাগলাদিয়া ও মোতোঙ্গা নদীর জলের স্তর বাড়ছে। যা নিঃসন্দেহে উদ্বেগের কারণ।
এদিকে লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ধস নেমেছে মেঘালয়ের বিভিন্ন এলাকায়। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, মেঘালয়ের লুমসনং পুলিশ স্টেশনের অধীনে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক (NH06) এর বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে ধস নেমেছে। এ কারণে সেখানে ব্যাহত হয়েছে যান চলাচল। উল্লেখ্য, এখনই হয়ত এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই নেই উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির। কেন্দ্রীয় মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে যে, আগামী ৫ দিন ভারী বৃষ্টিপাত জারি থাকবে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে।