নয়া দিল্লি: ভারত বরাবরই পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়ার অভিযোগ এনেছে। এমনকী নিজেদের দাবির সপক্ষে বিভিন্ন প্রমাণও পেশ করেছে নয়া দিল্লি, তাসত্ত্বেও সন্ত্রাসবাদকে প্রশয় দেওয়া বন্ধ করেনি ইসলামাবাদ। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিভিন্ন সময়ে চিনও ভারতের বিরুদ্ধে গিয়ে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে। এবার সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সম্মলনে যোগ দিতে ভারতে এল চিন ও পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল। এই দুই দেশের পাশাপাশি সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের (Shanghai Cooperation Organisation) সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিরাও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। ভারত এবারের বৈঠকের আয়োজন। সেখানে নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবিলার করার পদ্ধতি গুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে। বুধবার নয়া দিল্লিতে ৩ দিন ব্যাপী এই সম্মেলনের সূচনা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই সম্মেলনে আঞ্চলিক নিরাপত্তাজনিত সমস্যা এবং আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি আলোচনা করা হবে। গত বছর ২৮ অক্টোবর এক বছরের জন্য ভার এসসিওর সভাপতি মনোনীত হয়েছে।
এসসিও-র সদস্য দেশগুলির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সিনিয়র আধিকারিকরা এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। সেখানে চিন ও পাকিস্তানের বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ দু’বছরে ধরে পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সেনার সঙ্গে লাল ফৌজের সংঘাতের মধ্যে চিনা প্রতিনিধি দলের উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলাও এই সম্মেলনের অন্যতম আলোচ্য বিষয়। এসসিওর আঞ্চলিক সন্ত্রাসবিরোধী কাঠামোর সভাপতি হিসেবে ভারত এই বৈঠকের আয়োজন করছে বলে জানা গিয়েছে। ভারত এসসিও-র সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার চেষ্টা করেছে এবং সব ধরনের সহযোগিতার করা আগ্রহ দেখিয়েছে।
গত মাসেই এসসিও দেশগুলির সন্ত্রাসবাদ দমন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আরও একটি বৈঠক করেছিল ভারত। এমনকী গত বছর ডিসেম্বর মাসে একই ধরনের সম্মেলনের আয়োজ করেছিল ভারত। এই সম্মেলন থেকে প্রতিবেশী দু’দেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হয় কি না, সেটাই এখন দেখার। উল্লেখ্য, ভারত, চিন, পাকিস্তান ছাড়াও রাশিয়া, কিরগিজ রিপাবলিক, কাজাখস্তান, তাজিকস্তান, উজবেগিস্তানও সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য।