জয়পুর: ফের পড়ুয়া আত্মহত্যা (Suicide)। ধীরে ধীরে যেন আতঙ্কপুরী হয়ে উঠছে কোটা (Kota)। রাজস্থানের (Rajasthan) এই ছোট্ট শহর ইঞ্জিনিয়ারিং, চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য প্রতি বছর লক্ষাধিক পড়ুয়ার অস্থায়ী ঠিকানা হয়ে ওঠে। সেই শহরেই এখন আতঙ্ক পড়ুয়া মৃত্যু ঘিরে। একের পর এক আত্মহত্য়ার ঘটনা সামনে আসছে। এবার একই দিনে, মাত্র ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর দুই ছাত্রের আত্মহত্যার খবর মিলল। এই নিয়ে চলতি বছরে কোটায় ছাত্রমৃত্যুর সংখ্যা ২৩-এ পৌঁছল, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ইতিমধ্যেই কোটার জেলাশাসক আগামী এক মাস কোনও কোচিং সেন্টারে পরীক্ষা নিতে বারণ করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার সকালে আবিষ্কার শুভাঙ্গী নামক এক কিশোরের মৃত্যুর খবর মেলে। মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ওই কিশোর তাঁর ঠাকুমা-ঠাকুর্দার সঙ্গে কোটায় থাকছিল। মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট (NEET)-র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওই কিশোর। রবিবার কোচিং সেন্টারে পরীক্ষা ছিল তাঁর। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫ মিনিট আগে সে বেরিয়ে আসে। এরপরই ছয় তলা থেকে ঝাঁপ দেয় আবিষ্কার। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণ করে।
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, বিকেলে আদর্শ নামক এক কিশোরও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ওই কিশোর বিহারের বাসিন্দা ছিল বলে জানা গিয়েছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এই নিয়ে চলতি বছরে ২৩ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করল কোটায়। যা বিগত কয়েক বছরের মধ্য়ে সর্বোচ্চ পড়ুয়া আত্মহত্যার সংখ্যা। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষাতেও দেখা গিয়েছে, করোনা প্যান্ডেমিকের পর থেকে আত্মহত্যার হার ৬০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
আত্মহত্যা রুখতে সম্প্রতিই জেলা প্রশাসনের তরফে হোস্টেলগুলিতে সিলিং ফ্যানে স্প্রিং লাগানো ও বারান্দাগুলিতে লোহার জাল লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি পড়ুয়াদের নিয়মিত কাউন্সেলিং করানোরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। রবিবার পরপর দুই পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনার পর জেলাশাসক আগামী এক মাস সমস্ত কোচিং সেন্টারে পরীক্ষা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।