Suicide: ছাদ থেকে ঝুলছে ৪টি দেহ, নিথর ৯ মাসের ভাইও, ৩ দিন ধরে কেঁদেই গেল ২ বছরের দিদি!

Bengaluru Family Suicide: দু'দিন ধরে বাড়িতে ফোন করার পরও কেউ না ধরায় চিন্তায় ফের বাড়িতেই ফেরত আসেন এইচ শঙ্কর নামক ওই বৃদ্ধ। দূর থেকেই গন্ধ পান ঘরের ভিতর থেকে পচা গন্ধ বেরচ্ছে। দৌড়ে দরজা ভেঙে দেখেন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে।

Suicide: ছাদ থেকে ঝুলছে ৪টি দেহ, নিথর ৯ মাসের ভাইও, ৩ দিন ধরে কেঁদেই গেল ২ বছরের দিদি!
অ্যাম্বুল্যান্স চালকের আত্মহত্যায় আঙুল তৃণমূল নেত্রীর দিকে। প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2021 | 9:26 AM

বেঙ্গালুরু: গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে মা, মাসি, মামা ও দিদা! মাঝেই বসে রয়েছে দুই বছরের এক শিশু। ডেকে ডেকেও সাড়া দিচ্ছে না কেউ। নয় মাসের ছোট্ট ভাইটাও নিস্তেজ হয়ে পড়েছে, হাত-পা নাড়াচ্ছে না আর আগের মতো। তিনদিন এই অবস্থাতেই একা একা ঘরে কাটিয়ে দিল ছোট্ট শিশুটি। দাদু ফিরতেই তাঁকে কোলে তুলে নিল ঠিকই, কিন্তু ততক্ষণে গোটা পৃথীবীটাই ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে।

মেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝগড়া করে ছেলে মেয়েকে নিয়ে চলে আসায় বকাবকি করেছিলেন। বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন সে যেন স্বামীর কাছেই ফিরে যায়, কিন্তু স্ত্রীও মেয়ের পক্ষ নিতেই ঝামেলা আরও বাড়ে। তুমুল কথা কাটাকাটি হওয়ায় বাড়ি ছেড়ে চলে যান তিনি। দু’দিন ধরে বাড়িতে ফোন করার পরও কেউ না ধরায় চিন্তায় ফের বাড়িতেই ফেরত আসেন এইচ শঙ্কর নামক ওই বৃদ্ধ। দূর থেকেই গন্ধ পান ঘরের ভিতর থেকে পচা গন্ধ বেরচ্ছে। দৌড়ে দরজা ভেঙে দেখেন গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে। নিথর অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছে নয় মাসের ছোট্ট নাতিটিও। একমাত্র বেঁচে রয়েছে তাঁর দুই বছরের নাতনি।

শুক্রবার বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ (Policde)। চারজনের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় (Suicide)। এদিকে, তিনদিন ধরে না খেতে পেয়ে মারা যায় নয় মাসের শিশুটিও। ভাগ্যক্রমে বেঁচে ছিল কেবল দুই বছরের শিশুটি। পুলিশ অফিসার সঞ্জীব এম পাটিল বলেন, “আমরা বাড়ির ভিতর থেকে মোট পাঁচটি দেহ উদ্ধার করেছি। একটি শিশুই কেবল জীবিত ছিল। এখনও মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে যখন পুলিশ পৌঁছয়, তখন দেহগুলি গলতে শুরু করেছিল। সেই অনুযায়ীই মনে করা হচ্ছে, দু-তিনদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে তাদের।”

বাড়ির কর্তা এইচ শঙ্করকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। পরেরদিন থেকে বারংবার ফোন করলেও বাড়ির কেউই ফোন না ধরায় তিনি ফেরত আসেন। এসে দেখেন স্ত্রী (৫০), ছোট ছেলে (২৭) ও দুই মেয়ের দেহ ঝুলছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, নয় মাসের শিশুটি না খেতে পেয়ে মারা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: Terrorist Attack: বাড়ির বাইরেই ওৎ পেতে বসেছিল জঙ্গিরা, ফের পুলিশকর্মী খুন উঠে আসছে বদলার তত্ত্ব!