নয়ডা: একলা বাড়িতে টিউশন ক্লাস নিতেন শিক্ষিকা। পড়তে আসত অনেক ছাত্রছাত্রীই। কিন্তু, বয়সে ৬ বছরের ছোট এক ছাত্রের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি এই দুই অসম বয়সী ‘প্রেমিক-প্রেমিকা’ পালিয়েছে (Noida woman teacher elopes with minor boy student)। ছাত্রের বাবার দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষিকা তাঁর ১৬ বছরের সন্তানকে ‘অপহরণ’ করেছেন। তবে, পাড়া প্রতিবেশীরা দাবি করেছেন, কাহিনি তা নয়। ওই ছাত্রকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিয়ে যাননি শিক্ষিকা। দুজনের মধ্যে বেশ অনেকদিন ধরেই ঘনিষ্ঠতা যে ছিল, তা তাদেরও চোখ এড়ায়নি। কাজেই তারা দুজনে পালিয়েছে বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডার সেক্টর ১১৩ এলাকায়। পুলিশ এই ঘটনার বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষিকার বয়স ২২। নয়ডার সেক্টর ১১৩-য় একটি ফ্ল্যাটে একা থাকতেন তিনি। সেখানেই একটি টিউশন সেন্টার চালাতেন। ১৬ বছরের কিশোরের বাড়িও সেক্টর ১১৩-তেই, সে ওই শিক্ষিকার বাড়িতে যেত পড়াশোনা করতে। কিন্তু, পড়ার বই-খাতা ঘাঁটতে ঘাঁটতে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল, একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন । টিউশনির সময়ের বাইরেও, ওই ছাত্রকে ওই যুবতীর বাড়িতে আসতে দেখা যেত বলে দাবি করেছেন প্রতিবেশিরা।
ছাত্রের বাবা তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, গত রবিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ তাঁর ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। বলেছিল সে পিসির বাড়ি যাচ্ছে। কিন্তু, রাত হয়ে গেলেও, সে বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়েছিলেন বাড়ির লোকজন। পিসির বাড়ি খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে সেখানে যায়নি। এরপর, ওই শিক্ষিকার বাড়ি-সহ একাধিক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন ছাত্রটির আত্মীয়রা। শিক্ষিকার বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, তাঁর ফ্ল্যাটের বাইরে তালা। এরপরই ছাত্রের বাবা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে ‘প্রলোভিত’ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে নয়ডা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত ছাত্র ও শিক্ষিকার খোঁজ মেলেনি।
নাবালিকা ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের প্রেমের ঘটনা বিরল নয়। ২০২২-এর ডিসেম্বরেই উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলায় পুলিশ এরকম দুটি পৃথক ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল। তাদের দুজনেরই জায়গা হয়েছে কারাগারে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তবে, ছাত্রকে নিয়ে পালাচ্ছেন শিক্ষিকা, এমন ঘটনা বিশেষ শোনা যায় না।