নয়া দিল্লি: দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে সময়ের। সেই সঙ্গে বদল হচ্ছে মানুষের পছন্দেরও। শুধু ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেই নয়, কর্মক্ষেত্রেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। ধীরে ধীরে আরও কঠিন হচ্ছে চাকরির বাজার। একাধিক বড় বড় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই (Layoff) করা হচ্ছে। এটা শুধু দেশের নয়, গোটা বিশ্বেই একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সামনে এল আরও একটি চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। জানা গেল, দেশের যুব সম্প্রদায়ের ৮৮ শতাংশ কর্মীই চাকরি বদলের (Job Change) পরিকল্পনা করছেন। ২০২৩ সালেই চাকরি বদল করতে চান তারা। চাকরি সন্ধানের ওয়েবসাইট লিঙ্কডইনের (LinkedIn) তরফেই এই সাম্প্রতিক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। যারা চাকরি বদল করতে চান, তাদের মধ্যে অধিকাংশই জানিয়েছেন, বর্তমানে যে কাজ বা চাকরি করছেন, তাতে সন্তুষ্ট নন তারা। অনেকেই আবার নিজের দক্ষতা অনুযায়ী বেতন পাওয়ার জন্য চাকরি বদল করতে চান।
লিঙ্কডইনের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভারতে কর্মী নিয়োগের হার ২৩ শতাংশ কমেছে। এরপরও থেমে থাকছেন না যুব প্রজন্ম, বিশেষ করে ‘জেন জেড’। তারা ক্রমাগত চাকরি বদলের পরিকল্পনা ও চেষ্টা করে চলেছেন। বর্তমানে যারা চাকরি করেন, তাদের প্রতি ৫ জনের মধ্যে ৪ জনই চান চাকরি বদল করতে। ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৮৮ শতাংশ কর্মীরাই ২০২৩ সালে চাকরি বদল করতে চান। অন্যদিকে, ৪৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ পরিকল্পনা করছেন চাকরি বদলের।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে চলছে আর্থিক মন্দা। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতি সামলাতে যেখানে বড় বড় তথ্য় প্রযুক্তি সংস্থা থেকে শুরু করে লজিস্টিক সংস্থা ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই করছে, সেই পরিস্থিতিতে চাকরি বদল করা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এতেও ভয় পাচ্ছেন না বর্তমান প্রজন্ম। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৭৮ শতাংশ কর্মীই আত্মবিশ্বাসী যে তারা বর্তমান চাকরি ছেড়ে দিলে অন্য কোনও ভাল চাকরি পেয়ে যাবেন। তবে যদি আর্থিক মন্দার মুখে পড়তে হয়, তবে কেবলমাত্র ৪৩ শতাংশ কর্মীরই ক্ষমতা রয়েছে সেই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভাল চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কর্মীরা হার মানতে নারাজ। বর্তমান সময়ে চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে যে যে স্কিল বা দক্ষতার প্রয়োজন, তা শিখে নিতে বা ঝালিয়ে নিতেও তারা পিছপা হবেন না। দেশের মোট কর্মরত গোষ্ঠীর মধ্যে ৫৪ শতাংশই সঠিক ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, বিজনেস ইভেন্টে যাচ্ছেন নিজের পরিচিতি বাড়ানোর জন্য। ৪৭ শতাংশ কর্মীই তাদের বস, ম্যানেজার ও সহকর্মীদের কাছ থেকে নিজেদের কাজের পর্যালোচনা চান। ৪৪ শতাংশ কর্মী আবার এমন নতুন কিছু শিখছেন, যার বর্তমানে বাজারে চাহিদা প্রচুর।