নয়া দিল্লি : সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যগুলিকে বকেয়া বিদ্যুতের বিল মিটিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। তারপর টাকা বকেয়া থাকার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থার থেকে বিদ্য়ুৎ কেনার ক্ষেত্রে একাধিক বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল কেন্দ্র। সেই তালিকায় ছিল দেশের ১৩ টি রাজ্যের ২৭ টি বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থার নাম। সেই রাজ্যের মধ্যে ছিল মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, কর্নাটক, তামিল নাড়ু, রাজস্থান সহ আরও একাধিক রাজ্য। এর ফলে সেইসব রাজ্যে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্য়ুৎ পরিষেবা নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছিল।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার পাওয়ার সিস্টেম কো-অপারেশন লিমিটেডের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থার বকেয়া মিটিয়ে না দেওয়ার কারণে ইন্ডিয়ান এনার্জি এক্সচেঞ্জ, হিন্দুস্তান পাওয়ার এক্সচেঞ্জ ও পাওয়ার এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়াকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থার সব বকেয়া টাকা মিটিয়ে না দেওয়ায় মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, কর্নাটক, অন্ধপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু, বিহার, ছত্তীসগঢ় ও ঝাড়খণ্ড সহ ১৩ টি রাজ্য়ের ২৭ টি বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থাকে বিদ্যুৎ কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ‘পাওয়ার এক্সচেঞ্জ’ থেকে বিদ্যুৎ কেনা ও বিক্রি করার ক্ষেত্রে আজ থেকে ১৯ অগস্ট অবধি এই সংস্থাগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এক বর্ষীয়ান আধিকারিক বলেছেন, ‘কোনও বিজ্ঞপ্তি না আসা পর্যন্ত ১৯ অগস্ট পর্যন্ত পাওয়ার মার্কেট থেকে বিদ্যুৎ কেনাবেচা করতে পারবে না সংস্থাগুলি।’
তবে এই নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পেয়েছে ছয়টি রাজ্য। রাজ্যে বিদ্যুতের আশঙ্কার মাঝেই ছয়টি রাজ্যের মধ্যে দাবি করা হয়েছে, ডিসকমগুলির তরফে বকেয়া অর্থ সব মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরই বৃহস্পতিবার রাতে মহারাষ্ট্র, অন্ধপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মণিপুর ও ছত্তীসগড়ের বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থাগুলি পাওয়ার মার্কেটে বিদ্যুতের কেনাবেচা করতে পারবে।