নয়া দিল্লি: নয়া আবদগারি নীতির সঙ্গে জড়িত দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই-এর করা এফআইআর-এ নাম রয়েছে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার। এফআইআর-এ মোট ১৫ জন অভিযুক্তের নাম রয়েছে। তালিকার প্রথম নামটিই মণীশ সিসোদিয়ার। সিসোদিয়া ছাড়া ওই তালিকায় নাম রয়েছে দিল্লির আবগারি বিভাগের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার। তারা প্রত্যেকেই নয়া আবগারি নীতি কার্যকর করার প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিল। গত মাসেই এই নয়া নীতি বাতিল করা হয়েছে।
সিবিআই-এর ১১ পৃষ্ঠার এফআইআর-এ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের তালিকায় তৎকালীন আবগারি কমিশনার অর্ভ গোপী কৃষ্ণ-সহ তিনজন উচ্চপদস্থ কর্তার নাম রয়েছে। এফআইআর-এ বলা হয়েছে, “মণীশ সিসোদিয়া এবং অন্যরা টেন্ডারের পর লাইসেন্সধারীদের অযাচিত সুবিধা দেওয়ার অভিপ্রায়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতি সংক্রান্ত সুপারিশ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন।”
প্রসঙ্গত, আম আদমি পার্টিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পরই দলের দুই নম্বর নেতা হিসেবে পরিচিত মণীশ সিসোদিয়া। এদিন সকালেই তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। শুধু তাঁর বাড়িতেই নয়, আবগারি দফতরের ১১জন আধিকারিকের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। সব মিলিয়ে এদিন এই মামলা সংক্রান্ত তদন্তের প্রয়োজনে দিল্লি-সহ দেশের ৭টি রাজ্যের মোট ২১টি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। সম্প্রতি এই বিষয়ে দিল্লির নয়া লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনাকে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যসচিব। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, নতুন আবগারি নীতির প্রয়োগের ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে একাধিক নিয়মভঙ্গ করা হয়েছে। এরপরই এই বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিনয় সাক্সেনা।
এদিকে, আপ দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মণীশ সিসোদিয়াকে ইচ্ছা করেই নিশানা করছে কেন্দ্র। কারণ তাঁর শিক্ষা মডেল দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রথম পৃষ্ঠাতেও এই বিষয়ে নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। কেন্দ্রের তা সহ্য না হওয়াতেই প্রতিহিংসার পথে হাঁটছে তারা। অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, “সিবিআই অভিযানে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তাদের কাজ তাদের করতে দিন। আমাদের হেনস্থা করার জন্য উপর মহল থেকে তাঁদের কাছে নির্দেশ এসেছে। অনেক বাধা আসবে। কিন্তু আমাদের কাজ বন্ধ হবে না।”