রাস্তার ধারের মোমো খেয়েই মৃত্যু যুবতীর! জীবন-মরণের টানাটানি আরও ২০ জনের
Momo Stall: পুলিশ জানতে পারে, ওই মোমো বিক্রেতা, যার একাধিক স্টল রয়েছে, তার আদৌ কোনও ফুড সেফটি লাইসেন্স নেই। অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকরভাবে মোমো তৈরি করা হচ্ছিল। মোমো বানানোর ময়দা ফ্রিজে আঢাকা অবস্থাতে রাখা থাকত, যার ফলে ইস্ট, ফাঙ্গাস জন্মায়।
হায়দরাবাদ: মোমো খেয়ে মৃত্যু! রাস্তার ধারে জনপ্রিয় মোমো স্টল থেকে মোমো খেয়েই ভয়ঙ্কর পরিণতি হল ৩৩ বছরের যুবতীর। অসুস্থ আরও ২০ জন। এর মধ্যে ওই যুবতীর দুই সন্তানও রয়েছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় মোমোর দোকান থেকে খাবার খেয়ে একসঙ্গে এত মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত।
জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদের বানজারা হিলস এলাকায় বিভিন্ন মোমোর দোকান থেকে খাবার খাওয়ার পরই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন একের পর এক মানুষ। ওই সমস্ত দোকানের ভেন্ডর একজনই। সমস্যার সূত্র ওখান থেকেই বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
গত শুক্রবার খৈরতাবাদে রাস্তার ধারের এক মোমোর দোকান থেকে মোমো খান রেশমা বেগম (৩৩) ও তাঁর দুই কন্যা (১২ ও ১৪ বছর বয়স)। বাড়ি ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন রেশমা। ডায়েরিয়া, পেট ব্যথা ও বমি শুরু হয়। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়ে তাঁর দুই মেয়েও। তড়িঘড়ি তিনজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রবিবার মৃত্যু হয় রেশমার। তাঁর দুই মেয়ে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে শুধু রেশমাই নয়, একে একে বিভিন্ন জায়গা থেকে খাবারে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর আসতে শুরু করে। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। জানা যায়, বানজারা হিলসের বিভিন্ন জায়গায় মোমোর দোকান থেকে মোমো খেয়েছিলেন সকলে।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই মোমো বিক্রেতা, যার একাধিক স্টল রয়েছে, তার আদৌ কোনও ফুড সেফটি লাইসেন্স নেই। অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকরভাবে মোমো তৈরি করা হচ্ছিল। মোমো বানানোর ময়দা ফ্রিজে আঢাকা অবস্থাতে রাখা থাকত, যার ফলে ইস্ট, ফাঙ্গাস জন্মায়। এমনকী, ফ্রিজের দরজাও ভাঙা ছিল। মোমোর দোকান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। দুই দোকানদারকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।