কর্নাটক: সোশ্যাল মিডিয়া এখন যেন এক নেশার নাম। প্রায় প্রত্যহ সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট দেওয়া, ছবি পোস্ট করাটা অনেকের কাছেই এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে, যার জন্য প্রাণের তোয়াক্কাও করছেন না কেউ কেউ। সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনাও নতুন নয়। এবার ফের এক পর্যটনস্থলে ঘটল সেরকমই ঘটনা। কর্নাটকের কিতওয়াড়ের ঝর্ণায় পড়ে গিয়ে কাছে মৃত্যু হল চার পড়ুয়ার। ঝর্ণার কাছে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার চেষ্টা করছিল ওই চার কিশোরী, আচমকা পা পিছলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তাদের। মোট পাঁচজন একসঙ্গে পড়ে যায়। একজনকে কোনও ক্রমে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু বাকিদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
কর্নাটকের বেলাগাভির কাছে ওই ঝর্ণা দেখতে মাঝেমধ্যেই ভিড় করেন পর্যটকরা। সেরকমই শনিবার সেখানে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন ৪০ জন কিশোরী। এরপরই দুর্ঘটনা ঘটে। এক কিশোরীকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। আরও অনেক পর্যটক ছিলেন সেখানে, তাঁদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
বেলাগাভির জেলা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রবীন্দ্র গাদাদি খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান। বেলাগাভি ইন্সটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে চিকিৎসা চলছে আহত কিশোরীর। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে, সেদিকে নজর রেখেছে পুলিশ। হাসপাতাল চত্বরেও মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
বেলাগাভির কামাত গলি মাদ্রাসার পড়ুয়া ছিল ওই চার কিশোরী। তাঁদের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেহেতু ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী ওই জলপ্রপাত মহারাষ্ট্রের অধীনে পড়ছে, তাই সেখানকার পুলিশ মৃতদের ময়নাতদন্ত করবে।
গত জুলাই মাসে একই রকম ঘটনা ঘটে কর্নাটকের নাসেরগড়ে। ২২ বছর বয়সী এক যুবকের জলাশয়ে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়। সেলফি তুলতে গিয়ে এভাব প্রাণহানির ঘটনা ক্রমশ বেড়েছে চলেছে। এর জন্য এই সোশ্যাল মিডিয়ার নেশাই দায়ী বলে মনে করেন অনেকে।