নয়া দিল্লি : পুলিশ হেফাজতে শেষে জেলে পাঠানো হয়েছে আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে (Aftab Poonawalla)। আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁর ঠিকানা হবে তিহার জেল। এরই মধ্যে সামনে আসছে একের পর এক তথ্য। জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধা খুন হওয়ার পরও এক মহিলাকে বাড়িতে ডেকেছিলেন আফতাব। তখনও ফ্রিজে লুকনো প্রেমিকার দেহ। সেই সময় এক মহিলাকে ডাকা হয়েছিল, যিনি পেশায় চিকিৎসক তথা মনোবিদ বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। যে অ্য়াপের মাধ্যমে শ্রদ্ধার সঙ্গে আফতাবের আলাপ হয়েছিল, সেই অ্য়াপের মাধ্যমেই ওই মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর।
মনোবিদ ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট অ্য়াপের সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ওই অ্যাপের মাধ্যমেই একাধিক মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল আফতাবের। এদিকে, আফতাবের নারকো টেস্ট করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। পুলিশের হাতে এসে পৌঁছেছে শ্রদ্ধার দেহের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট।
শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে বিভিন্ন জায়গা ফেলে দিয়ে এসেছিলেন আফতাব। ১৮ দিন ধরে দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে ফেলে আসেন দেহের অংশ। জেরায় আফতাব খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন, তবে এখনও অবধি শ্রদ্ধার কাটা মুণ্ড পাওয়া যায়নি কোথাও।
পলিগ্রাফ পরীক্ষার সময় তদন্তকারীরা আফতকাবকে হিন্দিতে প্রশ্ন করেন, তবে সমস্ত প্রশ্নের জবাব ইংরেজিতেই দেন আফতাব। তদন্তকারীরা মোট ৫০টি প্রশ্ন করেন বলে জানা গিয়েছে। শ্রদ্ধাকে খুন করার বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন করার পাশাপাশি আফতাবের স্কুল ও কলেজ জীবন নিয়েও একাধিক প্রশ্ন করা হয়। আফতাবের মানসিক অবস্থা বুঝতেই বিশেষজ্ঞরা তার ছোটবেলা সম্পর্কে নানা প্রশ্ন করেন বলে মনে করা হচ্ছে।