সাংলি: ছেলেধরা সন্দেহে চার সাধুকে মারধরের অভিযোগ উঠল উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার লাভানা গ্রামে। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, গাড়ি থেকে টেনে নামানো হচ্ছে সাধুদের। তার পর নিগ্রহ করা হচ্ছে তাঁদের এবং বেল্ট দিয়েও পেটানো হচ্ছে। এই ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পর তৎপর হয় পুলিশ। সাদুদের নিগ্রহে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে ওই সাধুরা উত্তর প্রদেশের একটি আখড়ার সদস্য। কর্নাটকের বিজাপুর থেকে একটি গাড়িতে করে মহারাষ্ট্রের মন্দির শহর পড়ধাপুরে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার দিকনির্দেশের জন্য লাভানা এলাকায় গাড়ি থামিয়েছিলেন তাঁরা। তখনই সেখানকার স্থানীয়রা ভাবে, এই সাধুরা ছেলেধরা চক্রের সঙ্গে জড়িত। তখনই স্থানীয়রা গাড়ি থেকে টেনে বের করেন সাধুদের। নিগ্রহ ও মারধর করেন বলে অভিযোগ।
সাধুদের নিগ্রহের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ এসে আহত সাধুদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনা নিয়ে সাংলি জেলার পুলিশ সুপার দীক্ষিত গেদাম বলেছেন, “ওই সাধুরা কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। তবে গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে। ৬ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।”
ঘটনার নিন্দা করেছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়ক রাম কদম। তিনি জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের সরকার সাধুদের বিরুদ্ধে এ রকম আচরণ বরদাস্ত করবে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বলছেন, “উদ্ধব ঠাকরের রাজত্বকালে পালঘরে সাধুদের উপর হামলার বিচার মেলেনি। বর্তমান মহারাষ্ট্র সরকার এই সাধুদের ন্য়ায়বিচার দেবে।”
উদ্ধব ঠাকরের অধীনে থাকা শিবসেনা নেতৃত্ব এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক অ্যাখ্যা দিয়েছন তাঁরা। পাশাপাশি বিজেপি-কে খোঁচা দিতে ছাড়েননি। এই ঘটনার পর কজন বিজেপি নেতা ওই জেলায় গিয়েছেন তাও জানতে চেয়েছেন তাঁরা।