নয়া দিল্লি: ইডি, সিবিআই-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলির ‘অপব্যবহারের’ প্রতিবাদে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার দুপুরে, দিল্লির পরিবহণ ভবনের সামনের ঘটনা। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির বয়স বছর ৪৫। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, ইডি-সিবিআই-কে বিরোধী নেতাদের কণ্ঠরোধে অপব্যবহার করা হচ্ছে, এই অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ ১৪টি বিজেপি বিরোধী দল। বুধবারই, সেই মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে শীর্ষ আদালত। খারিজ হয়ে গিয়েছে বিরোধীদের করা মামলা।
একদিন পরই, একই অভিযোগ করে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন ওই ব্যক্তি। পরিবহণ ভবনটি অবস্থিত সংসদ ভবনের ঠিক পাশেই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে যায় ওই চত্বরে। ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তির সারা গায়ে পেট্রোল ঢেলে রাস্তায় বসে আছেন। ওই অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে বলতে দেখা যায়, “ভাইয়ো, বাঁচালো বাঁচালো…দেশকো বাঁচাও” (ভাই দেশকে বাঁচাও)। ওই ব্যক্তি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কিনা তা জানা যায়নি।
কেন্দ্রীয় সংস্থার অপব্যবহার বিষয়ে ১৪ বিরোধী দলের আবেদন খারিজ করে বুধবার, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কোনও বাস্তবিক প্রেক্ষাপট ছাড়া এই বিষয়ে কোনও সাধারণ নির্দেশিকা জারি করতে পারে না আদালত। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত মামলার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতে পারে। বেঞ্চ আরও জানিয়েছিল, সাধারণ নাগরিকদের থেকে বেশি সুবিধা দাবি করতে পারেন না রাজনৈতিক নেতারা। প্রধান বিচারপতি বলেন, “শুধুমাত্র পরিসংখ্যানের কারণে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ রাখা যায় না। নাগরিক হিসাবে, আইনের চোখে আমরা সবাই এক। এই আবেদনের সমস্যা হল, এতে পরিসংখ্যান দিয়ে এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু, আমরা শুধুমাত্র রাজনীতিবিদদের জন্য একটি নির্দেশিকা দিতে পারি না। আইনের চোখে দেশের সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের কোনও পার্থক্য নেই। এক বা একাধিক কেস নিয়ে আসুন, যেখানে বেছে বেছে বিরোধী নেতাদের নিশানা করার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হয়েছে।”