ভোপাল: কংগ্রেস বিধায়কের একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর (Income Tax Department)। সেখানেই উঠে এসেছে বিধায়কের হিসেব বহির্ভূত ৪৫০ কোটি টাকা আয়ের তথ্য। সেই আয়ের কোনও হিসেব দেখাননি বিধায়ক। আয়কর দফতর জানিয়েছে, ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্রমাগত তল্লাশি হয়েছে ওই বিধায়কের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিতে। সেখানেই উঠে এসেছে এই হিসেব বহির্ভূত আয়ের কথা। মধ্য প্রদেশের কংগ্রেস বিধায়ক নিলয় দাগার পরিবারের একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে বিভিন্ন শহরে। সেই মতোই মধ্য প্রদেশের বেতুল, সান্তা জেলা ছাড়াও মুম্বই ও কলকাতায়ও হানা দিয়েছিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।
সেখানেই প্রায় ৮ কোটি টাকা নগদ, ৪৪ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রা-সহ নয়টি ব্যাঙ্ক লকারের তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে খবর আয়কর দফতর সূত্রে। আধিকারিকরা একটি সোয়া উৎপাদনকারী ব্যবসায়িক কোম্পানির সঙ্গেও মেসেজের কথা প্রকাশ্যে জানতে পেরেছেন। যেখানে প্রায় ১৫ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।
সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, কলকাতায় ব্যবসায়িক লেনদেনে প্রায় ২৫৯ কোটি টাকার অসঙ্গতি তাঁদের চোখে এসেছে। এমনকি একাধিক ঠিকানায় হানা দিয়েও সেখানে কার্যকরী অফিসের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমনটাই জানিয়েছেন আধিকারিকরা। সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সেস জানিয়েছে, কংগ্রেস বিধায়কের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান প্রায় একাধিক সংস্থায় টাকা লেনদেন করে প্রায় ৫২ কোটি টাকার ‘ভুয়ো ক্ষতি’ দেখিয়েছেন। এছাড়াও গ্রুপের শেয়ার বিক্রিতেও একাধিক অসঙ্গতি এসেছে আধিকারিকদের হাতে। সব মিলিয়ে মোট ৪৫০ কোটি টাকার হিসেব বহির্ভূত আয় প্রকাশ্যে আসায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন কংগ্রেস বিধায়ক।
আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানীকে সুপ্রিম ধাক্কা, ফিউচার গ্রুপের সঙ্গে ২৪ হাজার কোটি টাকার চুক্তিতে স্থগিতাদেশ