রায়পুর: পরিস্থিতির চাপ, মগজ ধোলাই করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিপথে। সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফেরার যখন সুযোগ পেয়েছিলেন, তাই হাতছাড়া করেননি আর। নিজেদের নামের পাশ থেকে মাওবাদী (Maoist) তকমা সরিয়ে যোগ দিয়েছিলেন পুলিশে (Police Force)। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস! সেই মাওবাদীদের হামলাতেই মৃত্যু হল ৫ পুলিশকর্মীর। বুধবার ছত্তীসগঢ়ের (Chhattisgarh) দান্তেওয়াড়া (Dantewada) জেলায় মাওবাদী হামলায় যে ১০ পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়, তার মধ্যে ৫ জনই অতীতে মাওবাদী ছিলেন। সুস্থ জীবনে ফিরতে তাঁরা সন্ত্রাসবাদ ছেড়ে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার এমনই জানালেন পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক।
দান্তেওয়াড়া, মাওবাদী অধ্যুষিত এই এলাকায় বিগত কয়েক বছর ধরে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করা হলেও, সম্প্রতি মাওবাদী হামলায় ফের একবার আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বুধবার পুলিশের ডিস্ট্রিক রিজার্ভ গার্ডের কনভয়ে যে হামলা চালায় মাওবাদীরা, তার জন্য ৫০ কেজি আইইডি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। রায়পুর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আরনপুরের জঙ্গলের মাঝে পুলিশের কনভয়ের জন্য আগে থেকেই জাল পেতেছিল মাওবাদীরা। তবে প্রশ্ন উঠছে, এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক তারা কোথা থেকে পেল?
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবারের মাওবাদী হামলায় গাড়ির চালক সহ যে ১১ জন পুলিশকর্মীর মৃত্য়ু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৫ জন আগে মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এরা হলেন, হেড কন্সটেবল জগা সোদি (৩৫), মুন্না কাডতি (৪০), কন্সটেবল হরিরাম মান্ডবী (৩৬), জগা কাওয়াসি (২২), গোপনিয়া সৈনিক, রাজুরাম কারতম (২৫)। বস্তার রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল সুন্দররাজ জানান, নিহত এই ৫ জন অতীতে সক্রিয়ভাবে মাওবাদী হিসাবে কাজ করেছে। আত্নসমর্পণের পর তাঁদের সুস্থ জীবনে ফেরাতেই পুলিশে যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যেই তাঁরা সকলে ছত্তীসগঢ় পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন।