মুম্বই: ঝিলের ধারে জামা-কাপড় কাচতে গিয়েছিলেন শাশুড়ি-বউমা। বাড়িতে থাকলে দৌরাত্ম্য চালাবে, তাই সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল ৩ নাতিকেও। চুপচাপ জলে পা ডুবিয়ে বসেছিল তারা। হঠাৎই পা পিছলে জলে পড়ে গেল একজন। চিৎকার শুনেই জলে ঝাঁপ দিয়েছিলেন বাকিরা। কিন্তু জল থেকে উঠতে পারলেন না কেউই। জলে ডুবে তিন কিশোর সহ একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হল। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের থানে জেলায়। শনিবার একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের ডুবে মৃত্যু হল।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, যে জায়গায় ওই পাঁচজন ডুবে গিয়েছেন, তা আসলে ঝিল নয়। আগে ওই জায়গায় পাথর খোদাই চলত। সেখানেই জল জমে প্রায় ঝিলে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মাঝেমধ্যেই জামা-কাপড় কাচতে ওই খাদানে যান। শনিবারও ডোম্বিভালির সন্দপ গ্রামের বাসিন্দা ওই পরিবার খাদানে গিয়েছিল জামা-কাপড় কাচতে। আচমকাই একজন পা পিছলে জলে পড়ে যায়। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে বাকিরা ডুবে যান।
গ্রামের বাসিন্দাদের বয়ান অনুযায়ী, শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ মীরা গাইকোয়াড (৫৫) তাঁর পুত্রবধূ অপেক্ষা (৩০) জামাকাপড় কাচতে গিয়েছিলেন। গ্রামে জলের অভাব থাকায় তারা ওই খাদানে জামাকাপড় কাচতে গিয়েছিলেন। তাদের সঙ্গে তিন নাতি ময়ূরেশ (১৫), নীলেশ (১৫) ও মোক্ষ (১৩)-ও গিয়েছিল। তারা জলাধারের পাশেই খেলছিল। আচমকাই একজন পা পিছলে জলে পড়ে যায়। বাকিরাও তাঁকে উদ্ধার করতে জলে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু কেউই আর জল থেকে উঠতে পারেননি।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে গিয়ে জামাকাপড় পড়ে থাকতে দেখে বুঝতে পারেন যে বড় কোনও বিপদ ঘটেছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থানে ডুবুরি নিয়ে আসে। প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে উদ্ধারকাজ চলার পর পাঁচজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। ডোম্বিভালি থানায় দুর্ঘটনাবশত মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।