ইম্ফল: ভেবেছিলেন বিহারের যেমন বিজেপিকে বিপাকে ফেলেছেন, তেমনই ভিনরাজ্য়েও এনডিএ জোট থেকে বিধায়কদের সমর্থন তুলে নিয়ে আরও বিপদে ফেলবেন বিজেপিকে। কিন্তু নীতীশ কুমারের এই চাল তাঁর উপরেই বুমেরাং হয়ে ফিরে আসল। মণিপুরে বিজেপি সরকারের থেকে জেডিইউয়ের জোট ভাঙতেই নীতীশ কুমারের দলের সাত বিধায়কের মধ্যে পাঁচজনই বিজেপিতে যোগ দিলেন। শুক্রবারই রাজ্য বিধানসভায় বিবৃতি জারি করে এই দলবদলের কথা ঘোষণা করা হয়। বিগত নয় বছরে এই নিয়ে দুইবার বিজেপির সঙ্গে জোট ভাঙল জেডিইউ।
মণিপুরের বিধানসভার সচিব কে মেঘাজিৎ সিংয়ের সাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জনতা দল ইউনাইটেডের পাঁচ বিধায়কের বিজেপির সঙ্গে মিলিত হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বীকার করেছেন বিধানসভার স্পিকার। যেহেতু দলবদলি বিধায়কদের সংখ্যা মোট বিধায়কের সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশের বেশি, তাই এই দলবদলকে স্বীকৃত বলেই গণ্য করা হবে।
চলতি বছরের মার্চ মাসেই মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচন হয়। বিজেপির সঙ্গে জোটে মোট ৩৮টি আসনে লড়েছিল নীতীশ কুমারের দল। এরমধ্যে ৭টি আসনে জয়ী হয়েছিল জেডিইউ। সরকার গঠনের পর ৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভায় শাসক দল বিজেপির দখলে থাকে ৫৫ টি আসন। পাশাপাশি জেডিইউয়ের ৭ জন বিধায়কের সমর্থনও ছিল। গতকাল যে বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দেন, তারা হলেন, জয়কিষাণ, এন শনৎ, মহম্মদ আচাব উদ্দিন, এলএম খাউটে ও থাঙ্গজাম অরুণকুমার। এরমধ্যে এলএম খাউটে ও অরুণ কুমার আগেই, বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির হয়ে লড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাওয়ায়, জেডিইউয়ে যোগদান করেন এবং নির্বাচনে লড়েন।
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই জল্পনা শোনা গিয়েছিল যে, বিহারের মতোই মণিপুরেও বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে ফেলার চিন্তাভাবনা করছে জেডিইউ। আজ ও আগামিকাল পটনায় জেডিইউয়ের যে জাতীয় বৈঠক রয়েছে,,তাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই জেডিইউ বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দিলেন।
বিজেপি জোট থেকে জেডিইউ সমর্থন প্রত্যাহার করলেও, তাতে বিশেষ প্রভাব পড়বে না বিজেপির উপরে। কারণ তাদের হাতে বিধায়ক সংখ্যা ছিল ৫৫, যদি ৭ জন বিধায়ক আলাদা হয়ে যেতেন, তবে সেক্ষেত্রে বিধায়কের সংখ্যা কমে দাঁড়াত ৪৮-এ, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের সংখ্যা ৩১-র থেকে অনেক বেশি। কিন্তু ৫ জন বিধায়ক বিজেপিতেই যোগ দেওয়ার বদলে তাদের বিধায়ক সংখ্যা ৫৫ থেকে বেড়ে ৬০ হল।