Obscene Image: AI দিয়ে ৫০ ছাত্রীর অশ্লীল ছবি সোশ্যালে ভাইরাল! কাঠগড়ায় নামকরা স্কুল

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Oct 13, 2023 | 2:41 PM

Punjab: গত ১০ অক্টোবর বিষয়টি সামনে আসে। এক অভিভাবক মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন। মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে স্কুল থেকে বেরতেই তিনি জানতে চান কী হয়েছে, তখনই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। এরপরে অভিভাবকরা মিলে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান।

Obscene Image: AI দিয়ে ৫০ ছাত্রীর অশ্লীল ছবি সোশ্যালে ভাইরাল! কাঠগড়ায় নামকরা স্কুল
প্রতীকী চিত্র
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

চণ্ডীগঢ়: মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন। ছুটির ঘণ্টা বাজতেই দেখলেন, কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসছে মেয়ে। কী হয়েছে জিজ্ঞাসা করতেই মেয়ে জানাল, তাঁর আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়েছে। স্কুলের উচু ক্লাসের পড়ুয়াদের একটি স্ন্য়াপচ্যাট পোর্টাল রয়েছেস সেখানেই তাঁর আপত্তিকর ছবি আপলোড করা হয়েছে। একা ওই কিশোরীই নয়, তাঁর একাধিক সহপাঠীরও আপত্তিকর ছবি আপলোড হয়েছে ওই পোর্টালে।

ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের একটি স্কুলে। জানা গিয়েছে, চণ্ডীগঢ়ের একটি নামকরা স্কুলের কমপক্ষে ৫০ জন পড়ুয়া সাইবার অপরাধের স্বীকার হয়েছেন। ৫০ ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেওয়া হয়। ওই পড়ুয়াদের ছবিগুলি স্কুলের ওয়েবসাইট থেকেই ডাউনলোড করা হয়েছিল এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে ছবিগুলি বিকৃত করে বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে আপলোড করে দেওয়া হয়।

জানা গিয়েছে, গত ১০ অক্টোবর বিষয়টি সামনে আসে। এক অভিভাবক মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন। মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে স্কুল থেকে বেরতেই তিনি জানতে চান কী হয়েছে, তখনই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। এরপরে অভিভাবকরা মিলে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান। কিন্তু স্কুলের তরফে কোনও পদক্ষেপ না করায়, চণ্ডীগঢ়ের এসএসপির সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করেন। এরপরই পকসো আইন ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

চণ্ডীগঢ়ের এসএসপি কনওয়ারদ্বীপ কৌর জানান, সাইবার সেল ইতিমধ্য়েই এই স্ন্যাপচ্যাট আইডি সরিয়ে দিয়েছে, যেখান থেকে স্কুল পড়ুয়াদের অশ্লীল ছবি আপলোড করা হয়েছিল।

অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের পোর্টাল থেকেই পড়ুয়াদের ছবি ডাউনলোড করা হয়েছিল এবং তারপর এআই-র মাধ্য়মে সেই ছবি বিকৃত করা হয়। ওই পোর্টাল একমাত্র পড়ুয়া, তাদের অভিভাবক ও স্কুলের কর্মীরাই ব্যবহার করতে পারেন। অভিভাবকদের সন্দেহ, যে বা যারা অভিযুক্ত, তাঁরা স্কুলেরই কেউ। অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করে কড়া শাস্তির দাবি করা হয়েছে।

Next Article